পোষ্ট ০১
যাদুর জিনিষ, কবিরাজী জিনিষ বা তাবিজ নষ্ট করার নিয়মঃ
———————————
সন্দেহজনক কিছু বা কোন তাবিজ যদি পাওয়া যায় তাহলে সেটা নষ্ট করার জন্য একটি পাত্রে পানি নিন, তারপর সেই পানিতে সুরা আ’রাফ ১১৭-১২২ নং আয়াত, সুরা ইউনুস ৮১-৮২নং আয়াত এবং সুরা ত্বহা ৬৯ নং আয়াত (প্রতিটি আয়াত পড়বেন আর ফুঁ দিবেন) আয়াতগুলোর আরবি নিচে দেওয়া হলো।
সুরা আ’রাফ ১১৭-১২২
وَأَوْحَيْنَا إِلَىٰ مُوسَىٰ أَنْ أَلْقِ عَصَاكَ ۖ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ – فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ – فَغُلِبُوا هُنَالِكَ وَانقَلَبُوا صَاغِرِينَ – وَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ -قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ – رَبِّ مُوسَىٰ وَهَارُونَ
সুরা ইউনুস ৮১-৮২
فَلَمَّا أَلْقَوْا قَالَ مُوسَىٰ مَا جِئْتُم بِهِ السِّحْرُ ۖ إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ – وَيُحِقُّ اللَّهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ
সুরা ত্বহা ৬
وَأَلْقِ مَا فِي يَمِينِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوا ۖ إِنَّمَا صَنَعُوا كَيْدُ سَاحِرٍ ۖ وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُ حَيْثُ أَتَىٰ
এরপর সুরা ফালাক্ব, সুরা নাস ৩ বার করে পড়ে ফুঁ দিবেন।
———————————
লক্ষণীয়ঃ
১। তাবিজ,পুতুল,কাগজ,যাদুকরের দেয়া যেকোনকিছু উপরের আয়াতগুলো পড়া পানিতে ডুবিয়ে রাখবেন কিছুক্ষণ, কাগজে লেখা থাকলে সেটা ঘষে মুছে ফেলার চেষ্টা করবেন, লেখা মুছার পরে ছিড়ে অনেকগুলো টুকরো করবেন, তারপর শুকিয়ে পুড়িয়ে ফেলবেন, পুড়ানোর সময়ে নিশ্বাসের সাথে সেটার ধোঁয়া নেয়া থেকে বিরত থাকবেন।
২। তাবিজ খালি হাতে না ধরে গ্লাভস ব্যবহার করতে পারেন, তাবিজ ধরার পূর্বে এবং নষ্ট করার পুরোটা সময়ে ফালাক, নাস পড়বেন।
৩। তামা বা অন্য ধাতুর তাবিজ বা আংটিতে খোদাই করা লেখা থাকলে লেখাটা ঘষে মুছে ফেলবেন, ঘষে মুছতে না পারলে পুড়িয়ে হলেও লেখাটা মুছে ফেলা জরুরী, নিজে করতে না পারলে কোন স্বর্ণকারের কাছে গিয়ে লেখাটা মুছে ফেলবেন।
৪। তাবিজে গিট দেয়া থাকলে সাবধানে প্রতিটা গিট খুলবেন। কোন পুতুল, মূর্তি, পাখি, মাছ ইত্যাদি পাওয়া গেলে সাবধানে খেয়াল করবেন এদের গায়ে কোন পিন আছে কিনা, থাকলে প্রতিটা পিন খুলবেন, পিনগুলোও পানিতে ডুবিয়ে রাখবেন, জীবন্ত কোনকিছু যেমন- পাখি পাওয়া গেলে তার ডানার নিচে এবং শরীরের প্রতিটা জায়গায় খুঁজে দেখবেন কোন তাবিজ, পিন বা সন্দেহজনক কিছু আছে কিনা, থাকলে এগুলো সাবধানে খুলে নিয়ে পাখিকে তাবিজ নষ্টের পানি দিয়ে ভিজিয়ে ছেড়ে দিবেন, তাবিজের ভেতরে কাগজ ছাড়াও অন্যকিছু থাকতে পারে, তাবিজ খুলতে গেলে অনেক সময় খোলস ভেঙ্গে বের করা লাগতে পারে, যাই থাকুক, ভাঙ্গা টুকরোসহ সবটুকুই পানিতে ঢালবেন, একইভাবে যাদুকরের দেয়া তেল পড়া, পানি পড়া ইত্যাদি জিনিসপত্র পানিতে ঢালবেন।
৫। ব্যবহৃত পানি ফেলার জন্য এবং তাবিজ পুড়ানোর জন্য, সাধারনত মানুষের যাতায়াত হয়না এমন কোন জায়গা ঠিক করে নিন।
৬। কোন জায়গায় তাবিজ রাখা আছে সন্দেহ হলে সেখানে পরপর তিনদিন তাবিজ নষ্টের পানিটা ছিটিয়ে দিন, কারো বাসার দেয়ালে, ফ্লোরে অথবা যেকোন স্থানে তাবিজ আঁকা অথবা খোদাই করা থাকলে লেখাটা ঘষে মুছতে হবে, তারপর তাবিজ নষ্টের পানিটা ওখানে ছিটিয়ে দিতে হবে, অনেক সময় বাসা বানানোর সময়ে প্রতি কোণায় তাবিজ রেখে দেয়া হয়, সেক্ষেত্রে এসব কোণায় তাবিজ নষ্টের পানিটা ছিটিয়ে দিবেন পরপর তিনদিন, আর দোয়া করবেন যেন আল্লাহ তাবিজ নষ্ট করে দেন।
৭। জ্যোতিষীর দেয়া কোন বিশেষ আংটি থাকলে তাবিজ নষ্টের পানিতে ডুবিয়ে রাখবেন, কিছুক্ষণ রেখে পাথরটা ভেঙে তারপর ফেলে দিবেন, জ্যোতিষীরা বিশ্বাস করে পাথরের ক্ষমতা আছে, তাই কোনমতেই এই পাথর রেখে দেয়া যাবেনা।
৮। আপনি তাবিজ ব্যবহার করলে উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী তাবিজ নষ্ট করবেন, তারপর তাবিজ ব্যবহার করার জন্য তাওবা করবেন।
———————————
সংকলনেঃ কামরুল ইসলাম
এডমিনঃ রুকইয়াহ সেবা প্রকল্প গ্রুপ
———————————
অনুপ্রেরণায়ঃ রুকইয়াহ সাপোর্ট গ্রুপ – Ruqyah Support BD