রুকইয়াহ সেবা প্রকল্প
Menu
  • হোম পেইজ
  • রুকইয়াহ পোষ্ট
  • রুকইয়াহ অডিও ডাউনলোড
  • রুকইয়াহ পিডিএফ ডাউনলোড
  • যোগাযোগ
Menu

34. রুকইয়াহ শারইয়াহঃ পরিচিতি (প্রশ্নোত্তর)

Posted on 13/06/202014/06/2020 by ruqyahbd

পোষ্ট ৩৪ঃ

বিস-মিল্লাহির রাহমানির রাহিম

রুকইয়াহ শারইয়াহ পরিচিতিঃ
(ক) সবচেয়ে বড় এবং প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে, রুকইয়াহ কি?

১) শাব্দিক অর্থে রুকইয়াহ মানে হল, ঝাড়ফুঁক, মন্ত্র, তাবিজ কবচ ইত্যাদি।

২) তবে ব্যবহারিক অর্থে রুকইয়াহ বলতে সাধারণত ঝাড় ফুঁকই বুঝায়।

৩ ) রুকইয়ার পারিভাষিক অর্থ হচ্ছে, কোরআনের আয়াত, আল্লাহর নামের যিকর, হাদিসে রাসূলুল্লাহ ﷺ অথবা সালাফে সালেহীন থেকে বর্ণিত দোয়া পাঠ করার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে কোন বিপদ থেকে মুক্তি চাওয়া কিংবা রোগ থেকে আরোগ্য কামনা করা।

আর এটাই রুকইয়াহ শারইয়াহ’র উত্তম সংজ্ঞা।

(খ) এই রুকইয়াহ জিনিসটা আসলে কি?

রুকইয়াহ হল একটি চিকিৎসা পদ্ধতি, আধুনিক ভাষায় পরিচয় করিয়ে দিতে চাইলে এটাকে spiritual healing বলা যায়। অর্থাৎ আধ্যাত্মিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা।

(গ) রুকইয়াহ শারইয়ার কাজ কি?
এটা মনের আশা পূরণ কিংবা অসাধ্য সাধনের কোন তদবির না, প্রেমিক-প্রেমিকার মিলন ঘটানো, স্বামীকে বশ করানো, কারো সাথে বিচ্ছেদ ঘটানো, বিয়ের ব্যবস্থা করানো, বাচ্চা হওয়ানোর কোনো মন্ত্র না, এটা নামাজ-রোজা কিংবা হজ্ব-যাকাতের মতন বিশেষ কোন ইবাদাত না, এটা একটা চিকিৎসা পদ্ধতি মাত্র।

যার মাধ্যমে মানুষেরা বদনজর-যাদু বা জিন আক্রান্তের কারনে স্বাভাবিক জীবনে বাধাগ্রস্থ হয়ে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ও অসুস্থ জীবন যাপন অতিবাহিত করে থাকে , এমতাবস্থায় রুকইয়া শারঈয়ার মাধ্যমে সুস্থতা লাভ করে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে পারে।

(ঘ) এ ব্যাপারে ইসলাম কি বলে?

এই চিকিৎসা পদ্ধতির ক্ষেত্রে শরিয়তের নির্ধারিত গণ্ডি অতিক্রম না করলেই এটা জায়েজ, আর সীমা অতিক্রম করে নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো রুকইয়ার নাম ভাঙ্গিয়ে এই চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যবহার একেবারেই নিষিদ্ধ। এব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “রুকইয়াতে যদি শিরক না থাকে, তাহলে কোনো সমস্যা নেই।” (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং ৫৫৪৪)।

এক্ষেত্রে আলেমদের মত হচ্ছে, এটা তো অবশ্যই শিরক এবং কুফর থেকে মুক্ত হতে হবে, এমনকি এসবের সন্দেহও থাকা যাবে না।

এজন্য ওলামায়ে কিরাম কয়েকটি শর্তের ব্যাপারে একমত হয়েছেন, সেসব হচ্ছে:
১. কোন শিরক-কুফর অথবা হারাম বাক্য থাকা যাবে না।
২. যা দ্বারা রুকইয়াহ করা হবে সেটা স্পষ্ট বাক্যে হতে হবে, যার অর্থ ভালোভাবে বোঝা যায়।
৩. দুর্বোধ্য কোন সংকেত বা ভাষায় হওয়া যাবে না, যার অর্থ স্বাভাবিকভাবে মানুষ বুঝে না।

(উদাহরণস্বরূপ আপনি বাংলাদেশে ল্যাটিন ভাষার রুকইয়াহ করতে পারবেন না, কারণ এখানকার মানুষ সেটা বুঝবে না। এজন্যই সালাফের মাঝে কেউ কেউ ঝাড়ফুঁক আরবিতে হওয়াকেও শর্ত বলেছেন। তবে মূলতঃ স্বাভাবিকভাবে বোধগম্য ভাষায় হলে, আরবি হওয়া আবশ্যক না।)

আর হ্যাঁ! রুকইয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আক্বিদা রাখতে হবে, রাক্বির কোন সাধ্য নেই কাউকে সুস্থ করার কিংবা বিপদ দূর করার, সুস্থতা এবং বিপদমুক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, এখানে রুকইয়াহ কেবল দোয়ার অনুরূপ ভূমিকা পালন করছে, অর্থাৎ রুকইয়াহ আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার একটি পদ্ধতি মাত্র।

নোটঃ যিনি (রোগীদেরকে) রুকইয়াহ করেন , তাকে রাক্বী বলা হয়।

(ঙ) এবারের প্রশ্ন হচ্ছে, কে বা কি পরিমান যোগ্যতা থাকলে রুকইয়াহ করতে পারে?
উত্তর হল- নিজের জন্য বা পরিবারের জন্য যে কেউ রুকইয়াহ করতে পারে, এজন্য হাফেজ-আলেম বা বিরাট বুজুর্গ হওয়া শর্ত না, আল্লাহর ওপর ভরসা রাখে এমন যে কোন ব্যক্তি, যদি দেখে-দেখে কিংবা মুখস্থ দোয়া অথবা কোরআনের আয়াত পড়তে পারে, তাহলে সেই সেলফ রুকইয়াহ করতে পারবে।

তবে হ্যাঁ, আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদে অথবা জনগণের জন্য ব্যাপকভাবে রুকইয়াহ করতে চান, তাহলে অবশ্যই এ বিষয়ে আপনাকে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখতে হবে। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কেউ যদি চিকিৎসার জ্ঞান না রেখেই চিকিৎসা করে, তবে (কিছু ঘটলে) সেই দায়ী হবে।” (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস নং ৪৫৮৬)।(চ)

নোটঃ নিজে নিজে রুকইয়াহ করাকে সেলফ রুকইয়াহ বলা হয়।

(চ) শেষ প্রশ্ন, আমি কিভাবে রুকইয়াহ বিষয়ে জানতে পারি? অথবা আমি কিভাবে রুকইয়াহ করা শিখতে পারি?

১. এ বিষয়ে বিজ্ঞ আলেমদের প্রবন্ধ অথবা বই থেকে জানতে পারেন, অথবা তাদের দরস, বায়ান কিংবা লেকচার থেকে জানতে পারেন।

২. যারা রুকইয়া করছেন বা অফলাইনে-অনলাইনে সাজেশন দিচ্ছেন এমন কারো সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন, তাকে ফলো করার চেষ্টা করেন, এতেও অনেক উপকার হবে ইনশাআল্লাহ।

৩. বর্তমানে অফলাইনে-অনলাইনে এ বিষয়ে অনেক বই বাংলায় পাওয়া যায়, আপনি সেগুলো পড়তে পারেন, পড়তে পড়তে আরও রাস্তা খুলে যাবে ইনশাআল্লাহ।

জাযাকুমুল্লাহু খাইর!
রুকইয়াহ শারইয়াহ আপনাদের জন্য বরকতময় হোক!

ক্যাটাগরিঃ

  • ১. রুকইয়াহ বিষয়ে জরুরি জ্ঞাতব্যঃ
  • ২. অতিরিক্তঃ রুকইয়াহ ঘনিষ্ঠ বিষয়ঃ
  • ৩. বদনজর বিষয়ক রুকইয়াহ অধ্যায়ঃ
  • ৪. যাদু-টোনা বিষয়ক রুকইয়াহ অধ্যায়ঃ
  • ৫. জ্বিন বিষয়ক রুকইয়াহ অধ্যায়ঃ
  • ৬. ওয়াস-ওয়াসা বিষয়ক রুকইয়াহ অধ্যায়ঃ
  • Uncategorized
  • গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক প্রেসক্রিপশন

সার্চ করুনঃ

রুকইয়াহ সেবা প্রকল্প গ্রুপ

গ্রুপে প্রবেশ করতে এখানে ক্লিক করুন

বিশেষ প্রয়োজনেঃ

(মোবাইল,ইমু,ওয়াটসআপ) কামরুল ইসলাম +968 71551688 এবং মুফতী মাহমুদ সেলিম +88 01723501455
  • জ্বিন, যাদু, বদ নজর, ওয়াসওয়াসা (প্যারানরমাল জাতীয়) ইত্যাদির চিকিৎসায় ইসলাম সম্মত ঝাড়ফুঁক তথা রুকইয়াহ শারঈয়্যাহ।
©2023 রুকইয়াহ সেবা প্রকল্প | Design: Newspaperly WordPress Theme