কেনো আপনার সমস্যার জন্য “রুকইয়াহ শারঈয়াহ” করা উচিৎ?
১. শারীরিক, মানসিক ও মনস্তাত্বিক এমন কিছু অসুস্থতা রয়েছে, যা দেখা দৃষ্টিতে সাধারনত ডাক্তারি রোগ হিসেবেই আমরা ভেবে থাকি, কিন্তু শত চিকিৎসা করিয়েও তেমন কোনো উন্নতি বা সুস্থতা আসেনা, ডাক্তার/হাসপাতাল, দেশ/বিদেশে দৌড়াদৌড়ি করে, টাকা-পয়সা, ব্যবসা-বানিজ্য, জমি-জমা, চাকরি-বাকরি খুইয়ে সর্বশ্রান্ত হয়ে যায় অনেকেরই, কিন্তু তারপরও সুস্থতার মুখ দেখা যায়না…… .
২. কিছু অসাধু, ভন্ড, প্রতারক, ওঝা এবং আলেম নামধারী (হুজুর বেশী) স্বার্থৈনেশী লোকেরা রয়েছে, যারা মানুষের সরলতা ও বিপদে অসাবধানতার সুযোগ নিয়ে অর্থ কামানোর ধান্দা বের করেছে, শুনেছি অনেক ভন্ড-ওঝা, তদবিরকারীরা অনেক বিপদ্গ্রস্থকে তাদের অসাবধানতার সুযোগে ব্লাকমেইল করে টাকা-পয়সা এমনকি মেয়েদের সম্মানহানীর মতো জঘন্য ঘৃণিত কাজও হাসিল করে নিচ্ছে, এরপরও অনেকের হুশ ফিরে না, কিছু পাবলিক আছে তারা চটকদার ভন্ড-প্রতারকদের চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে বিপদমুক্ত হতে গিয়ে আরো বেশি বিপদ্গ্রস্থ হচ্ছে…
চটকদার ভন্ড-প্রতারকদের চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনগুলো থাকে এই রকম- *** ৭ দিন-২১ দিন-৪০ দিনের মধ্যেই রেজাল্ট পাবেন এমনটা বলবে/ হান্ড্রেড পার্সেন্ট গ্যারান্টি দিবে/ হোম পেইজে আরো বিস্তারিত পাবেন।
৩. অনেক মূর্খ, অনেক উচ্চ শিক্ষিত বা অতি জ্ঞানী (এক্সট্রা পন্ডিতি) লোক আছে তারা “রুকইয়া শারঈয়ার” কথা শুনলে হাসি-তামাশা করে, টিটকারী করে, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে, তাদের কথা হচ্ছে আপনার সমস্যা হয়েছে আপনি ডাক্তারের কাছে আসেন, তাদের সাইন্স তাদেরকে শিক্ষা দেয় “জ্বিন-যাদু-বদ নজর-ওয়াসওয়াসা” এসব কথা বিশ্বাস করতে নেই, এসবই ভিত্তিহীন বানোয়াট, আর তাই তো একজন রোগী মারা গেলেও তারা স্বীকার করতে রাজি নয় যে এটা ডাক্তারি চিকিৎসায় সুস্থ হবার নয়, এর জন্য প্যারানরমাল চিকিৎসা “রুকইয়াহ শারঈয়াহ” গ্রহণ করা প্রয়োজন….।
৪. যেই সমস্ত বিষয় কুরআন/হাদিস এর মাধ্যমে স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়, সেই সকল বিষয়ে বিশ্বাস করা মুসলিম হিসেবে আমাদের ঈমানী দায়িত্ব, কুরআন/হাদিস এর মাধ্যমে আমরা সুস্পষ্টভাবে জেনেছি “জ্বিন-যাদু-বদ নজর-ওয়াসওয়াসা” ইত্যাদি সত্য এবং কুরআন/হাদিস এ বর্ণিত দুয়ার মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা সম্ভব। কুরআনুল কারীম থেকে দলীল-الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ অর্থঃ “যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে এমনভাবে দন্ডায়মান হবে, যেন তাদেরকে শয়তান আসর করে পাগল বানিয়ে দিয়েছে।” (সুরা বাক্বারা, আয়াত ২৭৫) এই আয়াত থেকে অন্তত দুইটি বিষয় বুঝা যায়-
ক) খারাপ জ্বিন মানুষকে আসর করতে পারে।
খ) জ্বিনের আসরের কারনে মানুষ অসুস্থ এমনকি পাগল হয়ে যেতে পারে। [মা’রিফুল কোরআন (পূর্ণাঙ্গ এডিশন) ১ম খন্ড ৬১১পৃ. দ্রষ্টব্য] রাসুলের জামানার একটা ঘটনা (আবু দাউদ শরিফে) আছে, একজন জ্বিনের আসরে পাগল হয়ে গিয়েছিলো, ভালো হচ্ছিলো না, তাকে শেকল দিয়ে বেধে রাখা হতো, একজন সাহাবী সুরা ফাতিহা পড়ে কয়েকদিন রুকইয়াহ করলে সে সুস্থ হয়ে যায়, পরে ওই সাহাবী রাসুল সা. এর কাছে এসে ঘটনা শোনায়, তখন কোরআন দ্বারা ঝাড়ফুঁক করার কারণে রাসুল সা. সাহাবীর প্রশংসা করেন।
———————————————————
ক) স্বাভাবিক অসুস্থতাঃ
দেখা দৃষ্টিতে এমন কিছু সাধারণ রোগ যা ডাক্তারি চিকিৎসায় সুস্থ হওয়ার কথা, কিন্তু ডাক্তার দেখিয়ে যদি তেমন ফলাফল পাওয়া না যায়, ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ খেয়ে কিছুদিন সুস্থ থাকে আবার যা তাই হয়ে যায়, তখন বুঝা উচিৎ এটা স্বাভাবিক রোগ নয়, এর পেছনে অন্য কিছু জড়িত আছে, সুতরাং এই জাতীয় ধারাবাহিক সমস্যার জন্য প্যারানরমাল চিকিৎসা “রুকইয়াহ শারঈয়াহ” অতি জরুরি বলে মনে করি।
১. জ্বর/ স্বর্দি-কাশি/ ঠান্ডা/ নিউমোনিয়া/
২. গ্যাস্টিকের-আলসারের ব্যথা/ পেটের পীড়া/ আমাশয়- কোষ্ঠকাঠিন্য/ লিভার দুর্বল/ পাকস্থলীর সমস্যা/
৩. মাথা ব্যথা/ মাইগ্রেন সমস্যা/ স্নায়ু দুর্বলতা/ মস্তিষ্কের সমস্যা/ রক্ত শূণ্যতা/ রক্ত দূষণ/
৪. হাতে-পায়ে ব্যথা/ হাতে-পায়ে চাবানো/ শরিরে ব্যথা/মেরুদন্ড ব্যথা-বেকে যাওয়া-ফাটল ধরা/কোমড়ে ব্যথা/
৫. হার্টে ব্যথা/ হার্ট স্ট্রোক/ ব্রেইন স্ট্রোক করা/ প্যারালাইসিস/
৬. হাঁপানি/ খিঁচুনি/ এলার্জি/ ব্রন বা চর্ম রোগে ভোগা/ জরায়ু সমস্যা/ বানজা সমস্যা/ যৌন রোগ/ যৌনাঙ্গের সমস্যা/
৭. চোখের সমস্যা/ নাকের সমস্যা/ কানের সমস্যা/ গলার সমস্যা/ দাঁতের সমস্যা/ হাড়ের সমস্যা/ অস্থি/ মজ্জা/
———————————————————
খ) স্বাভাবিক কিন্তু ভয়ংকর অসুস্থতাঃ
এমন কিছু স্বাভাবিক কিন্তু ভয়ংকর রোগ আছে যা ডাক্তারি চিকিৎসা নাকি প্যারানরমাল চিকিৎসা কোনটা যে প্রয়োজন তা প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারা যায় না, যদিও এই রোগসমূহ উপরে উল্লেখিত রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রোগ হিসেবে জন্ম নিয়ে থাকে, সে হিসেবে ডাক্তারি চিকিৎসা্তেই এটা সুস্থ হওয়ার কথা, কিন্তু বাস্তবিকতার সমীক্ষে দেখা যাচ্ছে ৫০% এর মত রোগীরা ডাক্তারী চিকিৎসায় সুস্থ হচ্ছে, প্রায় অর্ধেকাংশই সুস্থ হচ্ছেনা, সুতরাং ডাক্তার দেখিয়ে কিছুদিন সুস্থ থাকে আবার যা তাই হয়ে যায়, তারমানে এটার সাথে অন্য সমস্যাও জড়িত আছে, সুতরাং এই জাতীয় সমস্যার জন্যও প্যারানরমাল চিকিৎসা “রুকইয়াহ শারঈয়াহ” গ্রহণ করা অতি জরুরি।
১. প্রস্রাবে ইনফেকশন/ অতিরিক্ত যৌন চাহিদা/ যৌন চাহিদায় অনাগ্রহ/ যৌন দুর্বলতা/ যৌন অক্ষমতা/
২. মহিলাদের পিরিয়ডে অস্বাভাবিক ব্যথা/ পিরিয়ড অনিয়মিত/ অতিরিক্ত স্রাব/ অনবরত স্রাব/
৩. চোখে কম দেখা/ দৃষ্টিভ্রম হওয়া/ কানে কম শোনা/ কানে অদ্ভুট শব্দ শোনা/
৪. মনভোলা/ পড়াশোনায় অমনোযোগী/ পড়া ভুলে যাওয়া/ কাজে অমনোযোগিতা/ অসাবধানতা/ কিং কর্তব্য বিমূর/ দ্বায়িত্ব জ্ঞানহীনতা/
৫. মানসিক অস্থিরতা/ শারীরিক দুর্বলতা/ ধৈয্যহীনতা/ অতিরিক্ত জেদ/ অতিরিক্ত রাগ/
৬. ডিপ্রেশন/ প্যানিক ডিজওর্ডার/ অভার থিংকিং/ মৃত্যু ভয়/ আত্মহত্যার চিন্তা/ জীবনের প্রতি নিরাশ হওয়া/ জীবনকে অর্থহীন মনে হওয়া/ জীবনকে বিরক্তিকর মনে হওয়া/
৭. পাগলামী/ মৃগী রোগ/ নিরুদ্দেশ/ একা একা কথা বলা/ বেশি কথা বলা/ কথা বলতে জড়তা/অটিস্টিক/ ———————————————————
গ) অস্বাভাবিক ও ভয়ংকর অসুস্থতাঃ
এমন কিছু অস্বাভাবিক ও ভয়ংকর রোগ যা ডাক্তারি চিকিৎসার বিষয় না, যদিও আশেপাশে এই রোগসমূহ ব্যাপক হাঁরে দেখা যায় কিন্তু এর সঠিক ও সুশঠ সমাধানের অংশ খুবই অল্প, এসব সমস্যাক্রান্ত রোগীরা ওঁত পেতে থাকা অসাধু, ভন্ড, প্রতারক, ওঝা এবং আলেম নামধারী (হুজুর বেশী) স্বার্থৈনেশী লোকের চটকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে বিপদমুক্ত হতে গিয়ে আরো বেশি বিপদ্গ্রস্থ হচ্ছে, অনেক ভন্ড-ওঝা, তদবিরকারীরা বিপদ্গ্রস্থ রোগীকে তাদের অসাবধানতার সুযোগে ব্লাকমেইল করে টাকা-পয়সা এমনকি মেয়েদের সম্মানহানীর মতো জঘন্য ঘৃণিত কাজও হাসিল করে নিচ্ছে সুতরাং সাবধানতা অবলম্বন করুন, প্রতারকদের কথায় মিষ্টতা থাকে প্রচুর, উপরে চটকদার ভন্ড-প্রতারকদের চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন সম্পর্কে বলা হয়েছে, আপনারা তাদের ফাঁদে না পড়ে সঠিক পন্থায় আপনার সমস্যার জন্য প্যারানরমাল চিকিৎসা “রুকইয়াহ শারঈয়াহ” গ্রহণ করুন।
১. নিজেকে আয়নায় কুৎসিত দেখতে পাওয়া/ চেহারার লাবন্যতা না থাকা/ চোখের নিচে কালো হয়ে যাওয়া/
২. ঘুম না হওয়া/ ঘুমের ঘোরে অসংলগ্ন কথা বলা/ ঘুমের মাঝে ভয় পাওয়া/ আজেবাজে স্বপ্ন দেখা/ স্বপ্নে খাওয়া/ বোবায় ধরা/
৩. ভোরের দিকে ঘুমিয়ে যাওয়া/ নামাজে অলসতা-অমনোযোগিতা/ নামাজ না পড়া/ এবাদতে গাফেলতি/ ধর্মীয় কাজে আগ্রহ থাকা স্বত্বেও অংশগ্রহণ করতে না পারা/
৪. হস্তমৈথুন বা জিনায় লিপ্ত থাকা/ পর্ন আসক্তি বেড়ে যাওয়া/
৫. তাওবা করে বারবার তাওবা ভংগ করা/ পাপের কাজের সাথে লিপ্ত থাকা/ ভালো কাজ করতে চেয়েও করতে না পারা/
৬. বিয়ে না হওয়া/ স্বামী-স্ত্রীর মাঝে মন-মালিন্যতা/ মা-বাবা-ভাই-বোন একে অন্যকে সহ্য করতে না পারা/ কারো প্রতি বেশি আসক্ত হওয়া/
৭. বাচ্চা গর্ভে না আসা/ বাচ্চা গর্ভে এসে নষ্ট হওয়া/ বাচ্চা হয়ে মারা যাওয়া/ বাচ্চা ঠিকমত খাবার না খাওয়া/ বাচ্চার অতিরিক্ত জেদ-অতিরিক্ত রাগ/ বাচ্চা রাতে কান্নাকাটি করা/ বাচ্চার ঘুম না আসা/ বাচ্চারা পাগলামি তুলনামূলক বেশি করা/ অতিরিক্ত বায়না ধরা/ মায়ের বুকের দুধ বাড়ন্ত হয়ে বাচ্চার সমস্যা হওয়া/
৮. বেশি সন্দেহ করার রোগ হওয়া/ হিংসায় নিজেই জ্বলে-পুড়ে কষ্ট পাওয়া/ অহংকার ও দাম্ভীকতা বেড়ে যাওয়া/ রিয়া (লোক দেখানো আমল) বেড়ে যাওয়া/ কারো অবর্তমানে গীবত করার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া/ অহেতুক মিথ্যা কথা বেড়ে যাওয়া/ ওয়াদার খেলাপ করতে দ্বিধাবোধ না করা/ সূচীবায়ু-ওয়াসওয়াসায় ভোগা/
৯. ব্যবসা-বানিজ্যে লোকসান/ যোগ্যতা থাকা স্বত্বেও উপযুক্ত চাকরি না পাওয়া/ চাকরিস্থলে অসহ্য লাগা/ চাকরি চলে যাওয়া/ বিদেশে বড় ধরনের সমস্যায় পড়া/ বিদেশ যেতে বাধাগ্রস্থ হওয়া/ কোনো কাজে স্থির থাকতে না পারা/ অভাব-অনটন লেগে থাকা/ অকল্পনীয়ভাবে ঋণগ্রস্থ হয়ে যাওয়া/ অনবরত পেরেশানিতে ভোগা/ সংসারে ঝগড়াঝাটি লেগে থাকা/ গৃহপালিত পশু বা ক্ষেত-খামার ক্ষতিসাধন হওয়া/ এছাড়াও আরো অনেক সমস্যা আছে যা হয়তো এখানে উল্লেখ করা হয়নি….।
———————————————————
অধিকাংশ শারীরিক, মানসিক ও মনস্তাত্বিক রোগই “বদ-নজর/ জ্বিন/ যাদু” ইত্যাদি থেকে যেকোনো একটির প্রভাবে হয়ে থাকে, এজন্য ডাক্তারি চিকিৎসায় উন্নতি না হইলে তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিন “রুকইয়াহ শারঈয়াহ” চিকিৎসার জন্য, রোগীর কেস/সমস্যা ডিটেইলস জানার পরে অভিজ্ঞ রাক্কী/এডমিন সমস্যাগুলো এনালাইসিস করে সমস্যার কারন কোনটি তা নির্ণয় করে সঠিক ট্রিটমেন্ট দিতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
সংকলনেঃ কামরুল ইসলাম (রায়হান) ফেসবুক গ্রুপঃ রুকইয়াহ সেবা প্রকল্প গ্রুপ ফেসবুক পেইজঃ রুকইয়াহ সেবা প্রকল্প পেইজ ইউটিউব চ্যানেলঃ রুকইয়াহ সেবা