* রুকইয়াহ হচ্ছেঃ আপনার চলার পথে যে সমস্যার কারনে বাধাগ্রস্থ (রোগ বা ক্ষতিগ্রস্থ) হয়েছেন, সে বাঁধাগুলো (বদ-নজর, যাদু-টোনা ও জ্বিনের সমস্যার কারনে হয়ে থাকলে তা) দূর করে, কুরআন-সুন্নাহ মুতাবেক আবার আপনাকে আপনার সুস্থতা বা স্বাভাবিক অবস্থানে (আগের অবস্থানে) ফিরিয়ে আনার জন্য শরিয়াহ সম্মত চিকিৎসা পদ্ধতি।
রুকইয়াহ শারঈ’য়াহ কি? তা জানতে এই লিঙ্কটা দেখে নিন https://ruqyah-seba-bd.com/34-2/
* রুকইয়াহঃ এমন কোনো বিষয় না, যা আপনাকে আসাধ্য সাধন করে দিবে, আপনার মনের আশা পূরন করে দিবে, আপনাকে বিয়ের ব্যবস্থা করেই দিবে, বাচ্চার ব্যবস্থা করে দিবে, আপনি যেমনটি চান ঠিক তেমনটিই হবে, খবরদার; এ ধরণের মনোভাব আসাটাই ঈমানের দুর্বলতার লক্ষন, আপনার নিয়ত থাকতে হবে সুস্থ হওয়ার জন্য, আল্লাহ তায়ালা নসীবে রাখলে হবে, নসীবে না রাখলে হবেনা এটাই বিশ্বাস করে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
রুকইয়াহ করতে চাইলে প্রথমেই আপনার করণীয়ঃ
(ক) তদবীরঃ আপনার সমস্যা সমাধানের জন্য নিয়ম মতো রুকইয়া করতে হবে।
রুকইয়াহ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই নিম্নোক্ত বিষয়গুলো ঠিক রাখতে হবে।
সতর্কীকরণঃ এডমিনদের সাজেশন ছাড়া কেউ রুকইয়াহ শুরু করলে এবং এতে কোনো প্রকারের ব্যাড ইফেক্ট হলে আমাদেরকে দায়ী করতে পারবেন না।
১. পাক্কা নিয়তঃ যত কষ্টই হোক, যত বাধাই আসুক, এদিক-ওদিক দৌড়াদৌড়ি না করে রুকইয়ার আমল করেই যাবো ইনশাআল্লাহ, এভাবে নিয়তকে মজবুত করতে হবে, আর কিসের জন্য রুকইয়াহ করবো সেই বিষয়টা উল্লেখ করে নিয়ত করে নিতে হবে।
নিয়তের জন্য এই লিংকটা দেখে নিনঃ https://www.facebook.com/ruqyah.seba.bd/posts/238305107530887?
২. আপ্রান চেষ্টাঃ রুকইয়াহ শুরু করলে বা রুকইয়াহ করার নিয়ত করলে বিভিন্ন ধরণের বাঁধা বা প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়, কখনো কখনো সমস্যা আরো বেড়ে যায়, মনে রাখতে হবে এই বাধাটাও ওই সকল খারাপ প্রভাবের কারনেই হয়ে থাকে, যা আপনাকে সুস্থ হতে দিতে চায় না, সুতরাং আপনার চেষ্টা চালিয়ে যেতেই হবে যদি আপনি সুস্থ হওয়ার আশা রাখেন।
৩. পরিপূর্ণ ধৈর্য্যঃ কিছুদিন রুকইয়াহ করেই অধৈর্য হওয়া যাবেনা, মনে রাখবেন একজন রুগি ট্রিটমেন্ট এর জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারে, ইন্ডিয়া যাইতে পারে, সিংগাপুর যাইতে পারে, হাসপাতালে দিনের পর দিন এমনকি মাসের পর মাস শুয়ে থাকতে পারে,… তাহলে প্রয়োজন হলে এক্ষেত্রেও অবস্থার প্রেক্ষিতে ছুটি দরকার হলে ছুটি নিবে, রেস্টে থাকবে এরপর রুকইয়াহ করবেন, বছরের পর বছর ধরে যে রোগ বয়ে বেড়াচ্ছেন তা থেকে পরিত্রান পেতে হলে একটু সময় তো লাগতেই পারে, সুতরাং এডমিনদের সাজেশন ফলো করতে থাকুন।
৪. পারিবারিক সাপোর্টঃ রুকইয়াহ ট্রিটমেন্ট এর ক্ষেত্রে পারিবারিক সাপোর্ট বিশেষ প্রয়োজন (বিশেষ করে জ্বিনের রুগীদের ক্ষেত্রে), কারন এ ধরনের রোগীরা অমনোযোগী বা বাধাগ্রস্থ হবে এটা কাংখিত ও খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।
৫. সঠিকভাবে রুকইয়াহ করাঃ শুদ্ধ তেলাওয়াতে, সম্ভব হলে অর্থসহ বুঝে বুঝে, সাজেশন মোতাবেক নিয়মিত ও মনোযোগের সাথে রুকইয়াহ কন্টিনিউ করতে পারলে, অল্প অল্প আমলেও পরিপূর্ন সফলতা পাওয়া সম্ভব ইনশাল্লাহ।
(খ) তাকদীরঃ (আল্লাহ সুবহানাহু তায়া’লা আপনার জন্য যাহা, যখন এবং যেভাবে ফয়সালা করেছেন) এর উপর পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে হবে।
উল্লেখ্যঃ আল্লাহ তায়ালা চাইলে আপনি সুস্থ হবেন বা আপনার কাংখিত বস্তু পাইবেন, আর তিনি না চাইলে সুস্থ হবেন না বা আপনার কাংখিত বস্তু পাইবেন না, আপনার মনে করতে হবে আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি তিনি আমার জন্য যেইটা চান সেইটাই হচ্ছে বা হবে, এবং এতেই আমি সন্তুষ্ট।
(গ) ধৈর্য ও নামাজঃ আপনার যা কিছু চাওয়ার তা ধৈর্য সহকারে ও নামাজের মাধ্যমে বেশি বেশি করে মুনাজাতে চাইবেন।
উল্লেখ্যঃ আপনি রুকইয়াহ করবেন সুস্থ হওয়ার জন্য নিয়ত করে, আর নামাজ পড়ে বেশি বেশি দুয়া করবেন আপনার কাংখিত জিনিষটি পাওয়ার জন্য।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন, আমীন।
(কামারুল ইসলাম)