পোষ্ট ৩৭ঃ
এই সমস্যাটা নিয়ে অনেক আপু গ্রুপে পোস্ট দিচ্ছেন, ইনবক্স করছেন, বেশিরভাগ আপুই বেশ চিন্তিত এই সমস্যা নিয়ে, অনেক আপুর ধারনা যে শুধু তিনিই হয়তো এই ধরনের সমস্যা ফেস করছেন, কিন্তু আপুদের বলবো ভয়ের কিছু নেই, কারণ প্রায় প্রতিটা মেয়েই তার জীবনের কোনো না কোনো সময় এই ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাই এইটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই।
আপনার জন্য পরামর্শঃ
(১):#ডাক্তারঃ যদি কোন আপুর এ ধরনের সমস্যা দেখা যায় তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন, আর এর পেছনে মেডিকেল প্রবলেম যেমন-পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রম,থাইরোয়েড প্রবলেম বা অন্য কোন কারণ আছে কিনা নিশ্চিত হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা নিবেন।
(২) #অভ্যাসগত_পরিবর্তনঃ আর যদি এ ধরনের কোন সমস্যা না থাকে তাহলে নিজেদের খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপন পদ্ধতির দিকে নজর দিবেন, কারণ হঠাৎ করে ওজন হ্রাস বৃদ্ধি, জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল গ্রহণের ফলেও এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই উদ্বিগ্ন না হয়ে সমস্যার পেছনের কারণ আগে চিহ্নিত করুন, আর সে মোতাবেক চিকিৎসা নিন।
(৩) #প্যারানরমাল_সমস্যাঃ আর যদি এ ধরনের কোনো কারণ খুঁজে না পান বা সমস্যার পেছনের কারণ আপনার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয় তাহলে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিনঃ
১। আপনার কি বেশিরভাগ সময়ই মাথা ব্যাথা করে?
২। ঘুম ঠিকমত হয়না?? বোবায় ধরে বা বাজে স্বপ্ন দেখেন?
৩। একা থাকতে ভালোবাসেন বা বিষন্ন থাকেন?
৪। নামাজ কালামে মন নেই?
৫। বেশিরভাগ সময়ই মেজাজ খিটখিটে থাকে?
৬। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাথা করে? বিশেষতঃ ব্যাকপেইন আছে, কিংবা লজ্জাস্থানে ব্যথা করে?
উপরিউক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে আপনার প্যারানরমাল সমস্যা (খারাপ বাতাস বা জ্বীনের নজর) থাকার সম্ভাবনা আছে (সঠিকটা আল্লাহ রব্বুল আ’লামীনই ভালো জানেন)। তবে এক্ষেত্রে ঘাবড়ানোর কিছু নেই, বেশিরভাগ আপুই বলেন অমুক কবিরাজ বলেছে কু-নজর লাগছে, এই হইছে ,ওই হইছে বলে তাবিজ,গাছ-গাছড়া, ঝাড়ফুঁক করেন, কিন্তু কোন সমাধানই মিলেনি, এখন হতাশ হয়ে পড়েছেন।
আপুদের বলবো ফকির কবিরাজের পেছনে না ছুটে, কুর’আন-সুন্নাহ মোতাবেক চিকিৎসা (রুকইয়াহ-হিজামা) করেন রব্বুল আ’লামিন চান তো কিছুদিনের মধ্যেই শিফা লাভ করবেন ইনশাআল্লাহ।
একজন ভুক্তভোগীর অভিজ্ঞতাঃ
আমি এই ধরনের সমস্যা ফেস করেছি, বিশেষ করে কয়েক বছর যাবত ইস্তেহাযার সমস্যা ফেস করেছি, আর এই ব্যাপারে বিশেষ কোন জ্ঞান না থাকায় সমস্যার সমাধান মিলে নাই, রব্বুল আ’লামীনের কাছে চাইতে পারিনি তাই হয়তো, যদিওবা আমি ইস্তেহাযার জন্য রুকইয়াহ করেছিলাম, জ্বীনের সমস্যার জন্য রুকইয়াহ করেছিলাম, তারপরেও, তবে আল্লাহ রব্বুল আ’লামীনের ইচ্ছায় এই সমস্যা অনেকাংশে কমে এসেছিলো আলহামদুলিল্লাহ।
এরপর পুরোপুরি সমাধানের জন্য সাত দিনের ডিটক্স করেছিলাম, এবং এরপর আর সমস্যা হয়নি আলহামদুলিল্লাহ।
এরপর শারীরিক কিছু সমস্যার জন্য পিরিওড অনিয়মিত ছিল, অনেক ধরনের চিকিৎসা করেও ফায়দা পাইনি তেমন, পরে হিজামা করেছিলাম মাস তিনেক আগে, আর এই তিন মাস যাবত আমার পিরিওড রেগুলার আছে আলহামদুলিল্লাহ, অবশ্য শুধু আমি না অনেক আপুই ফল পেয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ, গতকালও এক আপু বললেন হিজামা করানোর পরে তার পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে আল্লাহ তালার ইচ্ছায়।
* আমি এখানে ৩টি সাজেশন দিচ্ছি পর্যায়ক্রমে আপনি শুরু করবেন, প্রথম সাজেশন ফলো করার পরে আপনি সুস্থ হয়ে গেলে আর করার দরকার নেই, কিন্তু এতেও সুস্থ না হলে দ্বিতীয় সাজেশন ফলো করবেন, এটা করে আপনি সুস্থ হয়ে গেলে আর করার দরকার নেই, কিন্তু এতেও সুস্থ না হলে তৃতীয় সাজেশন ফলো করবেন, আশা করা যায় আপনি সুস্থ হবেন ইনশাআল্লাহ।
আপনি ১০দিন একাধারে নিচের লিংক অনুযায়ী নজরের রুকইয়াহ করুন। https://www.facebook.com/ruqyah.seba.bd/posts/139221574105908?
প্রেসক্রিপশনঃ
১. রুকইয়ার অডিও শোনা।
২. রুকইয়ার গোছল করা।
৩. নজরের রুকিয়াহ করার পরেই ২দিন বরই পাতার গোছল করা।
বরই পাতার গোছলের নিয়ম এখানে পাবেনঃ https://www.facebook.com/ruqyah.seba.bd/posts/111668053527927?
৪. নিয়মিত মাসনুন আমল গুরুত্বের সাথে পালন করা (যত দিন বেঁচে থাকবেন)।
মাসনুন আমলের নিয়ম এখানে পাবেনঃ https://www.facebook.com/ruqyah.seba.bd/posts/117099579651441?
আপনি নিচের লিংক অনুযায়ী সাত (৭) দিনের রুকইয়াহ ডিটক্স করুন।
প্রেসক্রিপশনঃ
১. ডিটক্সের লিংকে বলা সাজেশন পুরোপুরি ফলো করা।
২. ডিটক্স করার পরেই ২দিন বরই পাতার গোছল করা।
বরই পাতার গোছলের নিয়ম এখানে পাবেনঃ https://www.facebook.com/ruqyah.seba.bd/posts/111668053527927?
৩. নিয়মিত মাসনুন আমল গুরুত্বের সাথে পালন করা (যত দিন বেঁচে থাকবেন)।
মাসনুন আমলের নিয়ম এখানে পাবেনঃ https://www.facebook.com/ruqyah.seba.bd/posts/117099579651441?
আপনি কোনো হিজামা সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করে, হিজামা করিয়ে নিন।
যেহেতু হিজামা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ, রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, হিজামাতে রয়েছে সমস্ত রোগের শিফা। (সহীহ বুখারী)
প্রেসক্রিপশনঃ
১. হিজামা করানো।
২. হিজামা করার পরেই ২দিন বরই পাতার গোছল করা।
বরই পাতার গোছলের নিয়ম এখানে পাবেনঃ https://www.facebook.com/ruqyah.seba.bd/posts/111668053527927?
৩. নিয়মিত মাসনুন আমল গুরুত্বের সাথে পালন করা (যত দিন বেঁচে থাকবেন)।
মাসনুন আমলের নিয়ম এখানে পাবেনঃ https://www.facebook.com/ruqyah.seba.bd/posts/117099579651441?
তাই আল্লাহ তা’আলার উপর ভরসা করে চিকিৎসা নিলে ভালো ফল পাবেন, ইনশাআল্লাহ, আর হ্যাঁ আমাদের একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে…. দুঃখ দুর্দশা, অসুখ-বিসুখ থেকে শিফা দানের মালিক একমাত্র আল্লাহ, তাই তাঁর উপর তাওয়াককুল করতে হবে এবং তাঁর কাছেই সাহায্য চাইতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সকল প্রকার ক্ষতি থেকে হেফাজত করুন এবং সকলকে সুস্থ্যতা দান করুন (আমীন)।
এখানে নিয়ত কিভাবে করবেন তার নিয়ম বলা আছে, আপনি ৪ নং নিয়ত করবেন।
– কামারুল ইসলাম