পোষ্ট নং- (রুকইয়াহ-০৪)
﷽
রুকইয়াহ করতে চাইলে আপনার জন্য করণীয়ঃ
(ক) তদবীরঃ আপনার রোগ বা সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করার জন্য/ সমস্যা সমাধানের জন্য, নিয়মানুযায়ী গুরুত্বের সাথে একাধারে রুকইয়ার আমল চালিয়ে যেতে হবে, নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর উপর এজন্য অবশ্যই গুরুত্বারোপ করতে হবে।
১. পাক্কা নিয়তঃ যত কষ্টই হোক, যত বড় বাঁধাই আসুক না কেনো, বিভিন্ন জায়গায় দৌড়াদৌড়ি না করে, সাজেশন মুতাবেক সঠিকভাবে নিয়মিত এই রুকইয়ার আ’মল করেই যাবো ইনশাআল্লাহ, কিছুতেই থামা যাবেনা, এভাবে নিয়ত করে নিতে হবে, আর কোন রোগ/সমস্যার জন্য রুকইয়াহ করবো অবশ্যই সেই বিষয়টা উল্লেখ করে নিয়ত করে নিতে হবে।
২. আপ্রান চেষ্টাঃরুকইয়ার আমল শুরু করলে বা রুকইয়াহ করার নিয়ত করলে, সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের বাঁধা-বিপত্তি অথবা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়তে হয়, কখনো কখনো সমস্যা/অসুস্থতা আরো বেড়ে যায়, মনে রাখতে হবে রুকইয়াতে এই বাঁধা ওই সকল খারাপ/কু প্রভাবের কারনেই হয়ে থাকে ওরা (যাদুকর/জ্বিনেরা)সুস্থ হতে দিতে চায় না, এরা রোগীকে অকেজো/অসুস্থ করে রাখতে বেশি চেষ্টা করে, তাই ওদের ফাঁদে পা দেওয়া যাবেনা সুস্থ হতে চাইলে রুকইয়াহ চালিয়েই যেতে হবে।
৩. পরিপূর্ণ ধৈর্য্যঃ কিছুদিন রুকইয়ার আমল করে অধৈর্য/অলসতা বশতঃ মাঝপথে রুকইয়ার আমল বাদ দেওয়া যাবেনা, মনে রাখবে একজন রোগী বা ভিকটিম লাখ লাখ টাকা খরচ করে সিংগাপুর যাইতে পারে, ভারত বা বিভিন্ন দেশে যাইতে পারে চিকিৎসার জন্য, দিনের পর দিন এমনকি মাসের পর মাস হাসপাতালে শুয়ে থাকতে পারেন, তাহলে রুকইয়ার ক্ষেত্রেও গু্রুত্বারোপ করতে হবে প্রয়োজন হলে ছুটি নিবেন, পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই রুকইয়াহ শুরু করবেন, বছরের পর বছর যাবত যে রোগ বা সমস্যা বয়ে বেড়াচ্ছেন তা থেকে পরিত্রান পেতে একটু সময় তো লাগবেই, সুতরাং ধৈর্য ও মনোযোগ সহকারে রুকইয়ার আ’মল চালিয়েই যেতে হবে।
৪. পারিবারিক সাপোর্টঃ রুকইয়াহ চিকিৎসার ক্ষেত্রে পারিবারিক সাপোর্ট বিশেষ প্রয়োজন (বিশেষ করে জ্বিনের রুগীদের ক্ষেত্রে), কারন এ ধরনের রোগীরা রুকইয়াহ করতে গেলে অমনোযোগী বা জ্বিন দ্বারাই বাধাগ্রস্থ হবে, এটা কাংখিত ও খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার, তাই পরিবারের কেউ দেখভাল করলে, তাক্কিদ দিলে, কখন কি করতে হবে তা মনে করিয়ে দিয়ে রুকইয়াহ করতে সহযোগিতা করলে, অলসতা-অমনোযোগী হলে কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে সাহস দিয়ে, পরামর্শ দিয়ে আ’মল (রুকইয়া) চালিয়ে যেতে সাহায্য করলে।
———————
(খ) তাকদীরঃ আল্লাহ তায়া’লা আপনার জন্য যা, যখন এবং যেভাবে ফয়সালা করেছেন এর উপর পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা রাখা।
* উল্লেখ্যঃ আল্লাহ তায়া’লা চাইলেই আপনি সুস্থ হবেন বা আপনার কাংখিত বস্তু পাইবেন, আর তিনি না চাইলে সুস্থ হবেন না বা কাংখিত বস্তু পাইবেন না, মনে করতে হবে আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, তিনি আমার জন্য যেটা চান সেটাই হচ্ছে বা হবে এবং এতেই আমি সন্তুষ্ট, সর্বাবস্থায় আমি আল্লাহ তায়া’লার ফয়সালার উপরই সন্তুষ্ট আছি।
———————
(গ) ধৈর্য ও নামাজঃ আপনার যা কিছু চাওয়ার তা পূর্ণ ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে বেশি বেশি করে চাইতে থাকুন, নামাজে বা মুনাজাতে চাইবেন।
উল্লেখ্যঃ
আপনি কোনো প্রকারের তাবিজ-কবচ, তাগা এ জাতীয় কোনো কিছু ব্যবহার করবেন না, কখনো এগুলো ব্যবহার করে থাকলে, সেজন্য খাস দিলে তাওবা (আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন, কিছুতেই তাবিজ-কবচ, তাগা ব্যবহার করবেন না এবং কোনো যাদুকর-ওঝা-ফকির বা তাবিজ দেওয়া হুজুরদের কাছে যাবেন না বলে এই অঙ্গীকার) করবেন, আপনার সাথে বা বাড়িতে এসব কিছু থাকলে তা এই লিংকে https://ruqyah-seba-bd.com/destory-magic/ বলা নিয়মে নষ্ট করে রুকইয়াহ শুরু করবেন ইনশাআল্লাহ।
———————
সংকলনেঃ কামরুল ইসলাম
রুকইয়াহ সেবা প্রকল্প গ্রুপ
রুকইয়াহ সেবা প্রকল্প পেইজ
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল