পোষ্ট নং-৬০
বাচ্চাদের জন্য বদ-নজরের রুকইয়াহঃ
————————————–
বাচ্চাদের বদ-নজর লাগলে কি করবেন?
[১ম পদ্ধতি]
যদি জানা যায় কার নজর লেগেছে তাহলে সাহল ইবনে হুনাইফ রা. এর হাদিসটা অনুসরণ করলেই হবে।
অর্থাৎ যার নজর লেগেছে তাকে অযু করতে বলবেন, অযুর পানিগুলো একটা পাত্রে জমা করবেন, এরপর সেই পানি আক্রান্ত বাচ্চার গায়ে ঢেলে দিবেন, তাহলেই নজর কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ।
এই পদ্ধতিতে সাধারণত একবারেই বদনজরের প্রভাব দূর হয়ে যায়, তবে প্রয়োজনে ২/৩ দিন করা লাগতে পারে, আর হ্যাঁ! অনেকের ক্ষেত্রে এই ওযু করার পানি ঢালার পর প্রচণ্ড পায়খানা বা প্রসাবের বেগ আসে, সেটা হয়ে গেলে আলহামদুলিল্লাহ দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়।
————————————–
#প্রশ্ন-১ঃ কুলির পানিও কি জমা করবে?
উত্তরঃ যদিও বা এক হাদিসে আছে কুলির কথা, তবে না নিলেও সমস্যা নেই, এমনকি অধিকাংশের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একজনের হাত-মুখ ধোয়া পানি নিয়ে অপরজন হাত-মুখ ধৌত করলেই বদ-নজর নষ্ট হয়ে যায়।
#প্রশ্ন-২ঃ যদি নিজের নজর নিজেরই লাগে?
উত্তরঃ তাহলে ওই বাচ্চাকে ওযু করাবে, এবং পানিগুলো জমা করবে, এরপর সেটা ওই বাচ্চার গায়ে ঢেলে দিবে।
যদি জানা না যায় কার নজর লেগেছে তাহলে নিচের দ্বিতীয় পদ্ধতি ফলো করতে হবে।
————————————–
[২য় পদ্ধতি]
বাচ্চার মাথায় হাত রেখে নিচের এই দুয়াগুলো পড়বেন এবং মাঝে মাঝে বাচ্চার গায়ে (মাথা হতে পা পর্যন্ত) ফুঁক দিবেন, এভাবে কয়েকবার করবেন।
১.
أُعِيْذُكُمْ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّةِ ، مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ
উ”ঈযুকুম বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাহ, মিং- কুল্লি শাইত্বা-নিও- ওয়া হা-ম্মাহ, ওয়া মিং- কুল্লি “আঈনিল লা-ম্মাহ।
২.
بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ، مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ، مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ، اللَّهُ يَشْفِيكَ، بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ
বিসমিল্লা-হি আরক্কীক, মিং- কুল্লি শাইয়িঈ ইউ’যীক, মিং- শাররি কুল্লি নাফসিন আও “আইনি হা-সিদ, আল্লা-হু ইয়াশ ফীক, বিসমিল্লা-হি আরক্কীক।
৩.
بِاسْمِ اللَّهِ يُبْرِيكَ، وَمِنْ كُلِّ دَاءٍ يَشْفِيكَ، وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ، وَشَرِّ كُلِّ ذِي عَيْنٍ
বিসমিল্লা-হি ইউবরীক, ওয়া মিং- কুল্লি দা-ঈই ইয়াশ ফীক, ওয়া মিং- শাররি হা-সিদিন ইযা- হাসাদ, ওয়া শাররি কুল্লি যী “আঈন ।
৪.
اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبْ الْبَاسَ، اشْفِ وَأَنْتَ الشَّافِي لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا
আল্লা-হুম্মা রাব্বান না-স, আযহিবিল বা’স, ইশফি ওয়া আং-তাশ শা-ফী, লা-শিফা-আ ইল্লা-শিফা-উক, শিফা-আল লা- ইউগা-দিরু সাক্বামা-।
————————————–
এরপর সুরা ফাতিহা এবং আয়াতুল কুরসি ১বার এবং সুরা ইখলাস, ফালাক, নাস ৩ বার করে পড়বেন, এরপর রুগীকে ফুঁ দিবেন, চাইলে সুরা ফালাক নাস অনেকবার পুনরাবৃত্তি করতে পারেন, সব ধরনের রুকইয়ায় এগুলো বিশেষভাবে উপকারী।
————————————–
সমস্যা বেশি হলে উল্লেখিত পদ্ধতিতে রুকইয়াহ করা শেষে, আরেকবার এগুলো পড়ে পানিতে ফুঁক দিয়ে প্রতিদিন বাচ্চাকে খাওয়াবেন এবং গোসল করাবেন।
————————————–
সমস্যা ভালো হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন করবেন এই দুটো কাজ, এছাড়া কোনো অঙ্গে ব্যাথা থাকলে, উপরে বর্ণিত দোয়া-কালাম পড়ে, তেলে ফুঁক দিয়ে প্রতিদিন ঐ তেল ম্যাসেজ করে দিতে পারেন।
———————————
সংকলনেঃ কামরুল ইসলাম
এডমিনঃ রুকইয়াহ সেবা প্রকল্প গ্রুপ
———————————
অনুপ্রেরণায়ঃ রুকইয়াহ সাপোর্ট গ্রুপ – Ruqyah Support BD