﷽
#রুকইয়াহ_শিক্ষার_অনলাইন_ফ্রি_ক্লাসঃ
*****************
উপস্থাপনঃ
আস সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা সাঈয়িদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলিহি ওয়া আছহাবিহি আজমাঈন।
******************
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ তায়ালার জন্য এবং দুরুদ ও সালাম প্রিয় নবীজীর উপর।
******************
আলোচ্য বিষয়ঃ
অতি প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয় হচ্ছে, রুকইয়াহ শারঈয়াহ (শরিয়ত সম্মত) চিকিৎসা পদ্ধতি, শরীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক সুস্থতার জন্য রুকইয়াহ বিশেষ ভূমিকা রাখে।
******************
রুকইয়ার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা।
ক. রুকইয়ার গুরুত্বঃ
রুকইয়াহ হচ্ছে জীবন চলার পথে… অনাকাংখিত সমস্যার কারনে স্বাভাবিক জীবন-যাপনে বারবার বাঁধাগ্রস্থ (রোগ বা ক্ষতিগ্রস্থ) হলে, সেই বাঁধাগুলো বদ-নজর, যাদুটোনা ও জ্বিন সমস্যার কারনে হয়ে থাকলে, তা দূর করে দিয়ে আবার সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে (আগের অবস্থানে) ফিরিয়ে আনার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে (অর্থাৎ সুস্থতা এবং সুন্দর জীবনের জন্যই রুকইয়াহ)।
খ. রুকইয়ার প্রয়োজনীয়তাঃ
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছেন, প্যারানরমাল (বদ-নজর -যাদু-টোনা-জ্বিনের আছর সংক্রান্ত)সমস্যার কারনে জীবনের অধিকাংশ সময়ই অস্বাভাবিক- অসহ্য দুঃখকষ্টে পড়ছেন, প্রতিটা ক্ষেত্রেই বিফল হয়েই ফিরতে হচ্ছে, ভালো কিছুই হচ্ছেনা, সবকিছুতেই বাঁধা বিপত্তি, বিয়েতে বাঁধা, বাচ্চা না হওয়া, সংসারে অশান্তি, স্বাস্থের অবনতি, লাগাতার অসুস্থতা, তাহলে আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা করে, সকল সমস্যা কাটিয়ে উঠে সুস্থতা লাভের জন্য রুকইয়ার আমল করা শুরু করুন।
*******************
রুকইয়াহ শারঈ’য়ার বৈধতাঃ
ক. কুরআন থেকে-
★ আল্লাহ তায়া’লার বানী-
• وَ نُنَزِّلُ مِنَ الۡقُرۡاٰنِ مَا هُوَ شِفَآءٌ وَّ رَحۡمَۃٌ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ ۙ وَ لَا یَزِیۡدُ الظّٰلِمِیۡنَ اِلَّا خَسَارًا
আমি অবতীর্ণ করেছি কুরআন, যা বিশ্বাসীদের জন্য সুচিকিৎসা ও দয়া, কিন্তু তা সীমা লংঘন কারীদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে (আল-ইসরা -৮২)
খ. হাদিস থেকে-
১. আ’ওফ ইবনে মালিক (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেছেন জাহেলিয়াতের যুগে আমরা বিভিন্ন রুকইয়া করতাম একদিন রাসুলুল্লাহﷺকে এটা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করায় তিনি বললেন আমাকে তোমাদের রুকইয়ার পদ্ধতি দেখাও, এতে শিরক না থাকলে রুকইয়াতে কোনো সমস্যা নেই [সহীহ মুসলিম-৫৫৪৪ {ইসলামিক ফাউন্ডেশন}]
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، قَالَ كُنَّا نَرْقِي فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَرَى فِي ذَلِكَ فَقَالَ “ اعْرِضُوا عَلَىَّ رُقَاكُمْ لاَ بَأْسَ بِالرُّقَى مَا لَمْ يَكُنْ فِيهِ شِرْكٌ ”
*******************
রুকইয়াহ শারঈ’ইয়ার মূল আক্কিদাহঃ
আর হ্যাঁ! রুকইয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আক্বিদাহ রাখতে হবে, রুকইয়াহ বা রাক্বির কোন সাধ্য নেই কাউকে সুস্থ করার কিংবা বিপদ দূর করার, সুস্থতা এবং বিপদমুক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, এখানে রুকইয়াহ কেবল দোয়ার অনুরূপ ভূমিকা পালন করছে, অর্থাৎ রুকইয়াহ আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার একটি পদ্ধতি মাত্র, আল্লাহ্ তায়ালা চাইলে সুস্থ হবে আর না চাইলে হবেনা।
******************
উদ্দ্যেশ্য ও লক্ষ্যঃ
আমাদের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে, সমাজ থেকে এক্সোরসিজমের নামে কুফরি – শিরকি কবিরাজি নির্মূল করা, আর এদের কাছে গিয়ে কেউ যেনো দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হতে পারে, অহেতুক সময়, টাকা এবং পরিশ্রম ব্যয় না করে, এ ব্যাপারে সহায়তা করা এবং সচেতনতা সৃষ্টি করা।।
রুকইয়াহ সেবা প্রকল্প এই গ্রুপটি একমাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে জ্বিন, যাদু, বদ নজর (প্যারানরমাল জাতীয়) ইত্যাদির চিকিৎসায় ইসলাম সম্মত ঝাড়ফুঁক তথা রুকইয়া শারঈয়্যাহ প্রচলনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের অর্থ, সময়, শ্রম ও সর্বোপরি ঈমানের হেফাজতের জন্য কাজ করে যাবে ইনশাআল্লাহ।
*********************
গৃহিত প্রকল্পঃ
এরই ধারাবাহিকতায় আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি… আর তা হচ্ছে
রুকইয়াহ শারঈয়াহ শিক্ষা দান প্রকল্প অনলাইন ফ্রি ক্লাসঃ
*********************
প্রকল্প বাস্তবায়নের যথার্থতাঃ
এই রুকইয়াহ সম্পর্কিত কমন সমস্যা ও সমাধানগুলো জেনে সবাই যেনো নিজের এবং একে অপরের সহায়তা করতে পারে, নিজের পরিবার বা বন্ধুদের জন্য যেনো সেলফ রুকইয়াহ করার মতো যোগ্যতা তৈরি করতে পারে।
বদ নজর, জ্বিন ও যাদু বিষয়ক সমস্যা ও সমাধানগুলো সম্পর্কে জানা এবং এ বিষয়গুলো নিয়ে আতংকিত না হয়ে, সঠিক সমাধানে আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠা।
********************
পর্যাপ্ত চিকিৎসা জ্ঞান ছাড়া কাউকে চিকিৎসা শুরু করা নিষেধঃ
আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদে অথবা জনগণের জন্য ব্যাপকভাবে রুকইয়াহ করতে চান, তাহলে অবশ্যই এ বিষয়ে আপনাকে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখতে হবে। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কেউ যদি চিকিৎসার জ্ঞান না রেখেই চিকিৎসা করে, তবে (কিছু ঘটলে) সেই দায়ী হবে।” (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস নং ৪৫৮৬)।(চ)
********************
রুকইয়াহ শারঈ’ইয়াহ শেখার মাধ্যমঃ
(ক) এ বিষয়ে বিজ্ঞ আলেমদের প্রবন্ধ অথবা বই থেকে জানতে পারেন, অথবা তাদের দরস, বয়ান কিংবা লেকচার থেকে জানতে পারেন।
(খ) যারা রুকইয়াহ করছেন বা অফলাইনে-অনলাইনে সাজেশন দিচ্ছেন এমন কারো সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন, তাকে ফলো করার চেষ্টা করেন, তার থেকে শিখতে পারেন।
(গ) বর্তমানে অফলাইনে-অনলাইনে এ বিষয়ে অনেক বই বাংলায় পাওয়া যায়, আপনি সেগুলো পড়তে পারেন, পড়তে পড়তে আরও রাস্তা খুলে যাবে ইনশাআল্লাহ। (আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভাইয়ের “রুকইয়াহ” বইটি সাজেস্টেট)।
******************
সূত্রঃ
নোটঃ যিনি (রোগীদেরকে) রুকইয়াহ করেন , তাকে রাক্বী বলা হয়।
নোটঃ নিজে নিজে রুকইয়াহ করাকে সেলফ রুকইয়াহ বলা হয়।
******************
যারা যারা রুকইয়াহ শার’ঈয়াহ বিষয়ে জানতে বা শিখতে আগ্রহী তারা নিম্নের এই পয়েন্টগুলো লিখে আমাকে ইনবক্স করুনঃ
১. নিজের পুরো নাম,
২. পিতার নাম,
৩. বাড়ীর ঠিকানা,
৪. পেশা ও কর্মস্থল,
৫. আপনার সুবিধামত সময় ক্লাসের জন্য,
৫. রুকইয়াহ শার’ঈয়াহ শেখার উদ্দ্যেশ্য কি?
**********************
জাযাকুমুল্লাহু খাইর!
রুকইয়াহ শারঈ’য়াহ আপনাদের জন্য বরকতময় হোক!
**********************
১. রুকইয়াহ পরিচিতি।
ক. প্রচলিত নাম-
রুকইয়া, রুকইয়াহ, রুকিয়া, রুকিয়াহ, রুকাইয়া সহ বিভিন্ন উচ্চারণ প্রচলিত রয়েছে, যার মূল হচ্ছে আরবি শব্দ (رقية) আর শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণ রুকইয়াহ অথবা রুকইয়া।
খ. রুকইয়াহ শাব্দিক অর্থঃ
রুকইয়াহ অর্থ ঝাড়ফুঁক করা, মন্ত্র পড়া, তাবিজ-কবচ, মাদুলি ইত্যাদি, আর রুকইয়াহ শারইয়্যাহ (رقية شرعية) মানে শরিয়াহ সম্মত রুকইয়াহ।
গ. রুকইয়াহ শারঈ’য়াহ চিকিৎসা কি?
★পারিভাষিক সংজ্ঞা হচ্ছে কুরআন শরীফের সুরা ও আয়াত, আল্লাহর নামের যিকর অথবা হাদিসে রাসূলুল্লাহ ﷺ এবং সালাফে সালেহীন থেকে বর্ণিত বিশেষ বিশেষ দোয়া পাঠ করার মাধ্যমে আল্লাহ তায়া’লার কাছে রোগ-সমস্যা বা বিপদ থেকে মুক্তি চাওয়া কিংবা রোগ থেকে আরোগ্য কামনা করা, রুকইয়াহ হচ্ছে শারঈ’য়াহ সম্মত (কুরআন-সুন্নাহ মুতাবেক) বৈধ চিকিৎসা পদ্ধতি।
ঘ. রুকইয়াহ করার পদ্ধতিসমূহঃ
বিভিন্ন ভাবে রুকইয়াহ করা হয়, যেমন-
১. দোয়া বা আয়াত পড়ে ফুঁ দেয়া হয়।।
২. মাথায় বা আক্রান্ত স্থানে হাত রেখে দোয়া/আয়াত পড়া হয়।
৩. পানি, তেল, খাদ্য বা অন্য কিছুতে দোয়া অথবা আয়াত পড়ে ফুঁ দিয়ে খাওয়া এবং ব্যাবহার করা হয়।
ঙ. পূর্বশর্তঃ
রুকইয়া করে উপকার পেতে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন, যেমন-
১. নিয়্যাত (কেন রুকইয়া করছেন, সেজন্য নির্দিষ্টভাবে নিয়াত করা)।
২. ইয়াক্বিন (এব্যাপারে ইয়াকিন রাখা যে, আল্লাহর কালামে শিফা আছে)।
৩. মেহনত (অনেক কষ্ট হলেও, সুস্থ হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরে রুকইয়াহ চালিয়ে যাওয়া)।
চ. লক্ষণীয়ঃ
রুকইয়ার ফায়দা ঠিকমতো পাওয়ার জন্য জরুরি কিছু বিষয়-
১. দৈনন্দিনের ফরজ অবশ্যই পালন করা।
২. সুন্নাতের প্রতি যত্নবান হওয়া।
৩. যথাসম্ভব গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা।
৪. মেয়েদের জন্য পর্দার বিধান মেনে চলা।
৫. ঘরে কোনো প্রাণীর ছবি / ভাস্কর্য না রাখা।
৬. সুরক্ষার জন্য সকাল-সন্ধ্যার মাসনুন আমলগুলো অবশ্যই করা।
৭. ইতিমধ্যে শারীরিক ক্ষতি হয়ে গেলে, সেই ঘাটতি পোষানোর জন্য রুকইয়ার পাশাপাশি ডাক্তারের চিকিৎসাও চালিয়ে যাওয়া।
৮. যথাসম্ভব দান সদকা করা।
৯. দুয়া, দরূদ ও এস্তেগফার জারি রাখা।
২. শরিয়াতে রুকইয়ার অনুমোদন।
রুকইয়াহ বৈধতার ব্যাপারে পর্যালোচনাঃ
ক. কুরআন থেকে-
★ আল্লাহ তায়া’লার বানী-
وَ نُنَزِّلُ مِنَ الۡقُرۡاٰنِ مَا هُوَ شِفَآءٌ وَّ رَحۡمَۃٌ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ ۙ وَ لَا یَزِیۡدُ الظّٰلِمِیۡنَ اِلَّا خَسَارًا *
আমি অবতীর্ণ করেছি কুরআন, যা বিশ্বাসীদের জন্য সুচিকিৎসা ও দয়া, কিন্তু তা সীমা লংঘন কারীদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে (আল-ইসরা -৮২)
খ. হাদিস থেকে-
১. আ’ওফ ইবনে মালিক (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেছেন জাহেলিয়াতের যুগে আমরা বিভিন্ন রুকইয়া করতাম একদিন রাসুলুল্লাহﷺকে এটা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করায় তিনি বললেন আমাকে তোমাদের রুকইয়ার পদ্ধতি দেখাও, এতে শিরক না থাকলে রুকইয়াতে কোনো সমস্যা নেই [সহীহ মুসলিম-৫৫৪৪]
২. বদনজরের জন্য রাসুলুল্লাহ ﷺ যার নজর লেগেছে তাকে গোসল করিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসা করার নির্দেশ দেন [সহীহ মুসলিম, হাদিস-২১৮৮]
★ কুরআন মানসিক ও শারীরিক ব্যাধির মহৌষধ। (যাদুল মা‘আদ – 4/322-323)
গ. রুকইয়াহ বৈধ হওয়ার জন্য কিছু শর্ত প্রযোজ্যঃ
১. রুকইয়া হতে হবে মহান আল্লাহর বাণী দিয়ে অথবা আল্লাহর গুণবাচক নাম, প্রশংসা দিয়ে বা রাসুলুল্লাহﷺ থেকে সহিহ সনদে পাওয়া যায় এমন কিছু দিয়ে অথবা সাধারণভাবে আল্লাহর স্মরণের মাধ্যমে।
২. রুকইয়াতে ব্যবহৃত শব্দ বা কথা এমন স্পষ্ট হওয়া যার মানে বুঝতে পারা যায়, আর কোনো প্রতীক বা চিহ্ন বুঝা না গেলে, অস্পষ্ট হলে তা ব্যবহার না করা।
৩. যিনি রুকইয়াহ করবেন এবং যার জন্য এই রুকইয়াহ করবেন, তারা সবাই অবশ্যই এই বিশ্বাস রাখবেন যে, আল্লাহর অনুমতি এবং হুকুম ব্যতিত রুকইয়ার নিজস্ব কোনোই ক্ষমতা নেই।
৪. রুকইয়াতে আল্লাহর প্রতি অবাধ্যতা বা শিরিকি প্রকাশ পায় এমন কোন কিছু না থাকা।
(ফাতওয়া আশ শামী ৬/৩৬৩, ইমাম নববী-ফাতহুল বারি ইবনে হাজার আস কলানী {রাহিমাহুল্লাহু আলাইহি})
ঘ. বিশুদ্ধ আক্বিদাঃ
উলামায়ে কিরামের মতে রুকইয়াহ করার পূর্বে এই আক্বিদা স্পষ্টভাবে জেনে নেওয়া উচিত ‘রুকইয়াহ বা ঝাড়ফুঁকের নিজস্ব কোনো ক্ষমতা নেই, সব ক্ষমতা আল্লাহ তা’আলার, আল্লাহ চাইলে শিফা হবে, নইলে নয়।’
৩. রুকইয়ার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা।
ক. রুকইয়ার গুরুত্বঃ
রুকইয়াহ হচ্ছে জীবন চলার পথে… অনাকাংখিত সমস্যার কারনে স্বাভাবিক জীবন-যাপনে বারবার বাঁধাগ্রস্থ (রোগ বা ক্ষতিগ্রস্থ) হলে, সেই বাঁধাগুলো বদ-নজর, যাদুটোনা ও জ্বিন সমস্যার কারনে হয়ে থাকলে, তা দূর করে দিয়ে আবার সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে (আগের অবস্থানে) ফিরিয়ে আনার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে (অর্থাৎ সুস্থতা এবং সুন্দর জীবনের জন্যই রুকইয়াহ)।
খ. রুকইয়ার প্রয়োজনীয়তাঃ
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছেন, প্যারানরমাল (বদ-নজর -যাদু-টোনা-জ্বিনের আছর সংক্রান্ত)সমস্যার কারনে জীবনের অধিকাংশ সময়ই অস্বাভাবিক- অসহ্য দুঃখকষ্টে পড়ছেন, প্রতিটা ক্ষেত্রেই বিফল হয়েই ফিরতে হচ্ছে, ভালো কিছুই হচ্ছেনা, সবকিছুতেই বাঁধা বিপত্তি, বিয়েতে বাঁধা, বাচ্চা না হওয়া, সংসারে অশান্তি, স্বাস্থের অবনতি, লাগাতার অসুস্থতা, তাহলে আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা করে, সকল সমস্যা কাটিয়ে উঠে সুস্থতা লাভের জন্য রুকইয়ার আমল করা শুরু করুন।