হানাফী ফিক্কহ (পোস্ট নং-১)
একজন মুসলিমের জন্য বিশেষ আমলনামার প্রেসক্রিপশন
*প্রথম অধ্যায়*
১ নং আমলঃ
মাসনুন আমলঃ বদ-নজর, যাদু, জ্বিন, সাপ-বিচ্ছু, পোঁকা-মাকড় এবং অন্যান্য ক্ষতি / বিপদ থেকে হেফাজত থাকার জন্য মাসনুন দুয়া’র আমল খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী, তাই ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সকলের জন্যই আজীবন এই মাসনুন আমল চালিয়ে যাওয়া জরুরি, আল্লাহ তায়া’লা আমাদের সাবাইকে যথাযথভাবে দৈনন্দিন মাসনুন আমলগুলো আদায় করার তাওফিক দান করুন।
————————-
২ নং আমলঃ
দুনিয়া-আখেরাতে সফল (কামিয়াবি)
হওয়ার কিছু প্রিয় ও কার্যকরী আমলঃ
★প্রতিদিন ২ বার করে (সুবিধা মতো সময়ে) নিচে বলা আমলগুলো নিয়মিত আদায় করবে।
* সুরা ও আয়াতঃ সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, সুরা হাশরের শেষ ৩ (তিন) আয়াত, সুরা আছর-কাওসার-কাফিরুন-ইখলাস-ফালাক্ক-নাস তেলাওয়াত করবে। (প্রতিটি ৩ বার করে)
* যিকির, দুয়া’ ও মুনাজাতঃ এরপর নিচের যিকির, দুয়া’ ও মুনাজাতগুলো গভীর মনোযোগ ও মহব্বতের সাথে পড়বে।(প্রতিটি ৩ বার করে)
————————-
ক. আল্লাহ তায়া’লার প্রশংসা, বড়ত্ব ও মহত্ব প্রকাশ করা বিষয়ে কিছু যিকর-আযকার।
(১) সুবহা’-নাল্লা-হি অয়াল হা’মদুলিল্লা-হি অয়া লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াল্লা-হু আকবার ওয়া লা- হা’ওলা ওয়ালা- ক্কুও ওয়্যাতা ইল্লা- বিল্লা-হ।
(২) সুবহা’-নাল্লা-হি ওয়া বিহা’মদিহি সুবহা’-নাল্লা- হিল আ’জী-ম।
(৩) আল্লা-হু আকবার কাবীরাও- ওয়াল হা’মদু লিল্লা-হি কাসী-রাও ওয়া সুবহা’-নাল্লা-হি বুকরাতাও ওয়া আসী-লা-।
(৪) লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ’দাহু লা-শারী-কা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হা’মদু ওয়া হুয়া আ’লা- কুল্লি শাইয়িং- ক্কাদী-র।
(৫) ইন্না- লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজী-উ’-ন।
(৬) বিসমিল্লা-হি’র রহ’মা-নির রহী’-ম।
(৭) সুব্হা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী ‘আদাদা খালক্বিহী, ওয়া রিদা নাফসিহী, ওয়া যিনাতা ‘আরশিহী, ওয়া মিদা-দা কালিমা-তিহী।
————————-
খ. আল্লাহ তায়ালার কাছে নিজের জন্য চাওয়া ও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ বিষয়ে কিছু দুয়া ও যিকর।
(১) লা- ইলা-হা ইল্লা- আং-তা সুবহা’-নাকা ইন্নী- কুং-তু মিনাজ জো-লেমী-ন। (৩ বার)
(২) ইয়া হা’য়্যু ইয়া কাইয়্যু-ম বিরাহ’মাতিকা আসতাগী-ছ।
(৩) আগিছ্নী- ইয়া- রহ’মা-ন।
(৪) আল্লা-হুম্মা ইন্নী- আসআ’লুকাল হুদা- ওয়াত তুক্কা ওয়াল আ’ফা-ফা ওয়াল গীনা-
(৫) আল্লা-হুম্মা ইন্নী- আসআ’লুকা ঈ’লমান না-ফিয়া’ও ওয়া রিঝক্কং- ত্বইয়্যিবাও- ওয়া আ’মালাম মুতাক্কব্বালাহ।
(৬) আল্লা-হুম্মাক ফিনী- বিহা’লা-লিকা আ’ন হা’রা-মিকা ওয়া আগনিনী- বিফাদ্বলিকা আ’ম্মাং- সিওওয়া-ক।
(৭) আল্লা-হুম্মা ইন্নী- আসআ’লুকাল জান্নাতা ওয়া আ’উ-যু বিকা মিনান্না-র।
(৮) রদ্বি-তু বিল্লা-হি রব্বাও ওয়া বিল ইসলা-মি দ্বী-নাও ওয়া বিমুহাম্মাদিন নাবিয়্যা- (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম)।
(৯) আল্লা-হুম্মাগ ফিরলী- ওয়ার হা’মনী- ওয়াহ দ্বীনী- ওয়াজবুরনী- ওয়া আ’-ফিনী- ওয়ার ঝুক্কনী- ওয়ার ফা’নী-।
(১০) রব্বানা- আ-ত্বিনা- ফিদ দুনইয়া- হাসানাতাও- ওয়া ফিল আ-খিরতি হাসানাতাও- ওয়া ক্কিনা- আ’যাবান্না-র।
(১১) আল্লা-হুম্মা ইন্নী- আউ’-যুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হা’যা-ন, ওয়া আউ’যুবিকা মিনাল আজঝি ওয়াল কাছা-ল, ওয়া আউ’যুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখল, ওয়া আউ’যুবিকা মিন গলাবাতিদ দাইনি ওয়া ক্কহরির রিজা-ল।
(১২) আল্লা-হুম্মা ইন্নী- আউ’-যুবিকা মিন আ’জা-বিল ক্কবরি ওয়া আউ’যুবিকা মিন আ’জা-বি জাহান্নাম ওয়া আউ’যুবিকা মিং- ফিত্বনাতিল মাহ’ইয়া-ই ওয়াল মামা-ত, ওয়া আউ’যুবিকা মিং- শাররিল ফিত্বনাতিল মাছি-হি’দ দাজ্জা-ল।
————————-
গ. আল্লাহ তায়া’লা আমাদের সাহায্যকারী, অভিভাবক এবং আমাদেরকে আল্লাহর জিম্মায় সোপর্দ করে দেওয়া বিষয়ে কিছু দুয়া’ ও যিকর।
(১) হা’সবুনাল্লা-হু ওয়া নে’মাল ওয়াকী-ল, নে’মাল মাওলা- ওয়া নে’মান নাসী-র।
(২) হা’সবি ইয়াল্লা-হু লা- ইলা-হা ইল্লা- হু-, আ’লাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আ’রশিল আ’জী-ম।
(৩) ইয়া হা’য়্যু ইয়া কাইয়্যু-ম, লা- ইলা-হা ইল্লা- আংতা বিরাহ’মাতিকা আসতাগী-ছ, আছলিহ লী- শা~নী- কুল্লাহ, ওয়ালা- তাক্কিলনী- ইলা- নাফছী- ত্বরফাতা আ’ঈ-ন।
(৪) বিসমিল্লা-হি তাওয়াক্কালতু আ’লাল্লা-হ।
(৫) আলহা’মদুলিল্লা-হি আ’লা কুল্লি হা’-ল।
————————-
ঘ. তাওবা-এস্তেগফারঃ সকল প্রকারের গুনাহ মাফ, আল্লাহর নৈকট্য অর্জন, ক্কলব পরিস্কার ও আধ্যাত্বিক পবিত্রতা বিষয়ে কিছু তাওবা-এস্তেগফারের দুয়া ও কালিমা।
(১) আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাজী- লা- ইলা-হা ইল্লা- হুয়াল হা’ইয়্যুল ক্কাইয়্যু-ম ওয়া আতু-বো ইলাই-হ
(২) সাইয়্যিদুল এস্তেগফার।
(৩) রব্বানা- জ্বলামনা- আং-ফুসিনা- ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা- ওয়াতার হা’মনা- লানা কু-নান্না মিনাল খ-ছিরী-ন।
————————-
ঙ. দুরুদ শরীফঃ আল্লাহ তায়ালার রহমত প্রাপ্তি, গুনাহ মাফ, মর্যাদা বৃদ্ধি ও দুনিয়া-আখেরাতের সর্বোচ্চ কল্যান ও বরকত হাসিল এবং মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রতি মহব্বত ও উম্মত হিসেবে করণীয় আমল কিছু দুরুদ ও সালাম।
(১) সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম।
(২) আল্লা-হুম্মা সল্লি- ওয়া সাল্লিম ওয়া বা-রিক আ’লা- নাবিয়্যিনা- মুহাম্মদ।
(৩) দুরুদে ইব্রাহীম।
————————-
চ. পিতা-মাতা, স্বামী/স্ত্রী-সন্তান, উস্তাদ, আত্বীয়-স্বজন, আম্বিয়া (আলাইহিস সালাম) ও সকল ঈমানদার, মুসলমান, সালেহীনদের জন্য দুয়া’।
(১) রব্বির হা’মহুমা কামা- রব্বা ইয়া-নি ছাগী-রা-
(২) রব্বিগ ফিরলী- ওয়ালি ওয়া- লিদাইয়্যা ওয়ালিল মু’মিনী-না ইয়াওমা ইয়াক্কু-মুল হিসা-ব।
(৩) রব্বি- হাবলি- মিনাছ ছ-লেহী-ন।
(৪) রব্বানা- হাবলানা- মিন আঝওয়া-জিনা- ওয়া জুররিই ইয়া-তিনা- ক্কুররতা আ’ইউনিও ওয়াজায়া’লনা- লিল মুত্তাক্কী-না ইমা-মা।
(৫) রব্বিজ আ’লনী- মুক্কি-মাছ ছলা-তি ওয়া মিং- জুররিই ইয়া-তি রব্বানা- ওয়া তাক্কব্বাল দুয়া’-
(৬) জানাযার নামাজের দুয়া’টা পড়বে।
————————-
★এরপর ইচ্ছে হলে মনের আবেগ মিশিয়ে (নিজের ভাষায়)কান্নাকাটি সহকারে তাওবা-এস্তেগফার করে, আল্লাহ তায়ালার দরবারে মুনাজাত করবে, যা প্রয়োজন তা চাইবে, আশা করা যায় আল্লাহ তায়া’লা কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ★
[{মুনাজাত করা বা না করা এটা ঐচ্ছিক বিষয়, ইচ্ছে হলে মুনাজাত করবে, ইচ্ছে না হলে মুনাজাত করবে না}]
————————-
*দ্বিতীয় অধ্যায়*
★ হক্কপন্থী জামাআ’তের অন্তর্ভুক্ত সঠিক রাস্তায় চলার (ছিরাত্বল মুসতাক্কিমের) জন্য, আল্লাহ তায়া’লার কাছে নামাজ পড়ে মন খুলে এই দুয়া’ করা।
اللَّهُمَّ أَرِنا الْحَقَّ حَقاً وَّارْزُقْنا اِتِّبَاعَه* وَأَرِنا الْبَاطِلَ بَاطِلاً وَّارْزُقْنا إِجْتِنَابَه*
আল্লা-হুম্মা আরিনাল হাকক্ক হাক্কও ওয়ার ঝুক্কনা- ইত্তেবা-আ’হ* ওয়া আরিনাল বা-ত্বিলা বা-ত্বিলাও ওয়ার ঝুক্কনা- ইজতেনা-বা’হ*
* আর সঠিক রাস্তা দেখানোর জন্য অন্তরকে উম্মুক্ত (খালি) করে দিয়ে, সঠিক রাস্তা (ছিরাত্বল মুসতাক্কিম) চেয়ে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করতে থাকা,, আশা করা যায় সঠিক রাস্তা পেয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
————————-
*তৃতীয় অধ্যায়*
#প্রাক্টিসিং_মুসলিম_মুসলিমাহ_
একজন প্রাক্টিসিং মুসলিম/মুসলিমাহ (সম্পূর্ণভাবে নিজেকে আল্লাহ তায়া’লার কাছে আত্মসমর্পণকারী ব্যক্তি), সে নিজের ইচ্ছানুযায়ী চলতে পারেনা, কথা বলতে পারেনা বা কোনো কাজ করার ক্ষমতা রাখেনা, তার সকল কিছুই আল্লাহ তায়া’লার হুকুম ও রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর দেখানো পদ্ধতি অনুযায়ী হওয়া বাধ্যতামূলক!
*আরবের কাফেররাও জানতো যে মুসলিম কথাটার অর্থ কি এবং একজন মুসলিমের কাজ কি? কিন্তু আমরা মুসলিম হয়েও নিজেকে নিজেই জাস্টিফাই (নিজের কর্তব্য ও সম্মান নির্নয়) করতে পারিনা, আর আমাদের করনীয় সম্পর্কে তো একেবারেই বেখবর!!!
★ প্রাক্টিসিং মুসলিম/মুসলিমাহ (আত্মসমর্পণকারী) এর জন্য করনীয় উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো যা আমাদের জন্য করা খুবই জরুরি, আমি সাধ্যমত গুরুত্বপূর্ণ কিছু পয়েন্ট তুলে ধরলাম, এছাড়াও আরো অনেক বিষয় আছে যেগুলো বিভিন্ন পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী আমাদের সম্মুখে এসে পড়ে এবং নিজেদের আক্কল (জ্ঞান) খাঁটিয়ে (স্থানীয় আলেম-ওলামা এবং ফিক্কহি ইমামগণের (মাযহাবের) দেওয়া সমাধান থেকে সহযোগিতা নিয়ে) ক্কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী সেগুলোর সমাধান করে চলতে হয়★
(১) আল্লাহ তায়া’লার উপর পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা রাখা!
(২) ফরজ নামাজসমূহ যথাসময়ে আদায় করা!
(৩) দ্বীনি ইলম (ফরজ পরিমান) অর্জন করা!
(৪) হালাল-হারাম জানা এবং তা মেনে চলা!
(৫) পাপের কাজ একেবারেই ছেড়ে দেওয়া!
(৬) বেশি বেশি নেক কাজ করার চেষ্টা করা!
(৭) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সুন্নাহকে মনে-প্রানে মহব্বত করা ও আ’মলে আনার চেষ্টা করা!
(৮) বিদআ’ত, কুসংস্কার ও গোমরাহি ত্যাগ করা!
(৯) পুরুষদের জন্য লম্বা দাড়ি রাখা, পড়নের কাপড় টাখনুর উপরে পরিধান করা, শালীন ও রুচিসম্মত পোশাক পরিধান করা!
(১০) নারীদের জন্য পরিপূর্ণ খাস পর্দা মেনে চলা!
(১১) লজ্জাস্থানের হেফাজত করে নিজেকে পবিত্র রাখা!
(১২) কু-নজর ও কু-প্রবৃত্তি থেকে বেঁচে থাকা!
(১৩) ফাহেশা, অশ্লীলতা ও অপচয় থেকে বিরত থাকা!
(১৪) জবান ও হাত থেকে অন্যকে নিরাপদ রাখা!
(১৫) রিয়া, গীবত, হিংসা ও অহংকার থেকে মুক্ত থাকা!
(১৬) প্রত্যেহ নিয়মিত কুরআ’ন তেলাওয়াত করা, হাদিস পড়া এবং ফিক্কহি মাসায়েল জানা!
(১৭) প্রত্যেহ মাসনুন আমল, দুয়া’ এবং জিকির করা!
(১৮) যে কোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য্য ধারণ করা, অভাবগ্রস্থ হলে, মানসিক আঘাত প্রাপ্ত হলে, যে কোনো বিপদে বা রোগাক্রান্ত হলে সবর এখতিয়ার করা এবং কুরআ’ন সুন্নাহ মুতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, অধৈর্য হয়ে আল্লাহর নাফরমানী না করা, শিরকি অথবা কুফরীর মাধ্যমে (পীর, ওলী, ওঝা, কবিরাজ বা জ্বিনের কাছে) সাহায্য না চাওয়া, আল্লাহ তায়া’লার কাছেই সাহায্য চাওয়া এবং আল্লাহর ফয়সালার উপরেই সন্তুষ্ট থাকা!
(১৯) বিনয়ী হওয়া এবং রাগ নিয়ন্ত্রণ করে চলা!
(২০) ঝগড়াটে, ঠ্যাটামি ও বেয়াদবি আচরণ না করা!
(২১) শিশু, এতিম, মিসকিন ও গরীবদের সাহায্য করা, আল্লাহর যে কোনো সৃষ্টিকে ভালোবাসা!
(২২) বেশি বেশি দান-সাদাকাহ করার অভ্যাস করা, অপচয় ও কৃপনতা না করা!
(২৩) পরোপকারী ও কল্যানমূলক কাজে যুক্ত থাকা, সামাজিকতা ও ব্যবহারে আন্তরিক হওয়া!
(২৪) জিহাদ এবং ধর্মীয় কাজের জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকা, প্রতিদিন কিছু সময় হলেও আল্লাহর (যিকির-অযিফা-দ্বীনের তালিম, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ বা দ্বীনের দাওয়াতের) জন্য বরাদ্দ রাখা!
(২৫) তাওবা-এস্তেগফার, দুরুদ, জিকির জারি রাখা!
(২৬) হক্কপন্থী কোনো জামাআ’তের সাথে যুক্ত থাকা!
(২৭) সুন্নাহভিত্তিক জীবন-যাপন করার চেষ্টা করা, যে কোনো কাজ বা পরিস্থিতি সামনে আসলে, এটা কিভাবে সম্পন্ন করবো তা অবশ্যই আমাদের নবীজি (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম), উম্মুহাতুল মু’মিনীন ও সাহাবা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম) সালাফে সালেহীনগন এবং আ’লেম-ওলামাদের দেখানো পদ্ধতিই অনুসরণ করবো, কিছুতেই নিজেদের খেয়াল খুশি মতো করবো না, আর যারা কুরআ’ন-সুন্নাহ বিরোধী পদ্ধতি অনুসরন করে তাদেরকে ভুলেও অনুসরণ করবো না, তাদেরকে নেতা মানবো না, তাদেরকে সমর্থনও করবো না!
(২৮) ধর্ম বিরোধী, ভ্রান্ত কোনো (ভন্ড পীর, দুনিয়াদার আলেম বা ইসলাম বিরোধী রাজনৈতিক) দলকে সমর্থন না করা!
★আল্লাহ তায়া’লার হুকুম আহকামগুলো রাসুলুল্লাহ (সাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অনুসরনে (দেখানো পদ্ধতিতে) আ’মল করে প্রকৃত মুসলমান হয়ে যেনো মৃত্যুবরণ করতে পারি সেই চেষ্টা ও সাধনায় সর্বদা নিজেকে পরিচালিত করা★
[{সর্বাবস্থায় আল্লাহ তায়ালার উপর বিশ্বাস রাখা, কোনো প্রয়োজনে তার কাছেই চাওয়া, তার উপরই আস্থা (ভরসা) রাখা, তাকেই উত্তম অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে নিজেকে তার রহমতের কোলে সপে দেওয়া, তার পক্ষ থেকে পাওয়া প্রতিটা ফয়সালা (ভালো-মন্দ) যাই হোক সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নেওয়া এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সবর এখতিয়ার করা }]
————————-
*সমাপ্ত*