﷽
বদ–নজর, যাদু–টোনা, জ্বিন আছর এর সম্মিলিত সমস্যায় রুকইয়াহ (অডিও)
পোষ্ট নং-০০০ (রুকইয়াহ-সম্মিলিত/১১)
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছেন, প্যারানরমাল (বদ-নজর -যাদু-টোনা-জ্বিনের আছর সংক্রান্ত)সমস্যার কারনে জীবনের অধিকাংশ সময়ই অস্বাভাবিক- অসহ্য দুঃখকষ্টে পড়ছেন, প্রতিটা ক্ষেত্রেই বিফল হয়েই ফিরতে হচ্ছে, ভালো কিছুই হচ্ছেনা, সবকিছুতেই বাঁধা বিপত্তি, বিয়েতে বাঁধা, বাচ্চা না হওয়া, সংসারে অশান্তি, স্বাস্থের অবনতি, লাগাতার অসুস্থতা, তাহলে আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা করে, সকল সমস্যা কাটিয়ে উঠে সুস্থতা লাভের জন্য এই (দীর্ঘ মেয়াদী) রুকইয়ার আমল করা শুরু করুন।
(এই রুকইয়াতে সকালে দেড় ঘন্টা ও বিকালে/রাতে দেড় ঘন্টা দৈনিক মোট ৩ ঘন্টার মতো সময় লাগবে)।
সুস্থতা লাভ করে সুখি ও সুন্দর জিবনের লক্ষ্যে উল্লেখিত নিচের সাজেশন ফলো করতে থাকুন।
১ নং আমলঃ
মাসনুন আমলঃ বদ-নজর, যাদু, জ্বিন, সাপ-বিচ্ছু, পোঁকা-মাকড়, শয়তান এবং অন্যান্য ক্ষতি / বিপদ থেকে হেফাজত থাকার জন্য মাসনুন দুয়া’র আমল খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী তাই ছোটবড়, নারীপুরুষ সকলের জন্য আজীবন এই মাসনুন আমল চালিয়ে যাওয়া জরুরি, আল্লাহ তায়া’লা সকল মু’মিনদেরকে যথাযথভাবে দৈনন্দিন মাসনুন আমল করার তাওফিক দান করুন।
লিংকঃ মাসনূন আমল ওয়েবপেইজ
২ নং আমলঃ
(ক) এই রুকইয়ার জন্য করণীয় আমলঃ
প্রথমতঃ মনকে স্থির করে নিন রুকইয়াহ করার জন্য,যত বাঁধা আসুক, যতই কষ্ট হোক রুকইয়াহ চালিয়েই যাবো কিছুতেই হেরে যাবো না ইনশাআল্লাহ।★ রুকইয়াহ করতে চাইলে নিচের লিংক ৩ টি ভালোমতো পড়বেন তাহলে এই রুকইয়ার উপর সঠিক ধারণা পাবেন এবং রুকইয়াহ করা সহজ হবে, এরপর প্রাথমিক কাজগুলো শেষ করে পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে রুকইয়াহ শুরু করবেন ইনশাআল্লাহ ★
১ম লিংকঃ রুকইয়াহ সম্পর্কে জানুন
২য় লিংকঃ আপনার রোগ ও সমাধান
৩য় লিংকঃ ভন্ড-প্রতারক-যাদুকর থেকে সাবধান!
—————
দ্বিতীয়তঃ
একটি বোতল বা ক্যানে প্রয়োজন মতো পানি ভর্তি করে নিবেন (৭ দিনের জন্য যে পরিমাণ লাগে গোসল ও পান করার জন্য), তেল-মধু ও কালোজিরা (৭ দিনের জন্য যে পরিমাণ লাগে) এগুলো নিয়ে বসুন, এরপর রুকইয়ার জন্য এখানে বলা সুরা-আয়াত ও দুয়াগুলো নিয়মানুযায়ী পড়ে পড়ে বোতলের পানি-তেল-মধু ও কালোজিরা (সবগুলো এক জায়গায় রেখে) এগুলোতে ফুঁক দিন (সাজেশনে যে কয়বার পড়তে বলা হয়েছে পানি-তেল -মধু এবং কালোজিরায় ঠিক সেই কয়বার পড়েই ফুঁক দিবেন) প্রতি সপ্তাহে একবার করে এভাবে পানি- তেল- মধু ও কালোজিরা পড়ে নিবেন।
★ যারা কুরআন শরীফ বা আরবি নিজেরা পড়তে পারেনা, তারা অন্য কাউকে দিয়ে পড়িয়ে নিবে, তারা পড়ে ফুঁ দিয়ে দিলেও হবে, এটাও যদি না করতে পারেন, তাহলে কোনো রাক্কীর সাথে যোগাযোগ করবেন ইনশাআল্লাহ ★
—————
(খ) এভাবে নিয়ত করে রুকইয়াহ শুরু করবেন।
ইয়া আল্লাহ! আপনার নামে এবং একমাত্র আপনার উপরই ভরসা করে এই রুকইয়ার আমল শুরু করছি, আমার যদি জ্বিন অথবা মানুষ কর্তৃক (বদনজর-যাদুটোনা বা জ্বিনের আছর সংক্রান্ত) কোনো সমস্যা হয়ে থাকে, তা থেকে মুক্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার জন্য এই আমলগুলো করছি, ইয়া আল্লাহ! আপনার শেফা ও অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে পরিপূর্ণ সুস্থ করে দিন।
—————-—
৩ নং আমলঃ
(ক) কুরআন শরিফ থেকে যা যা পড়তে হবে।
(১)أَعُوْذُ بِاللهِ ও بِسْمِ الله সহ সুরা ফাতিহা ৩ বার
(২) আয়াতুল কুরসী ৩ বার
(৩) সুরা হাশর শেষ ৩ আয়াত ১ বার
(৪) بِسْمِ الله সহ সুরা কাফিরুন ৩ বার
(৫) بِسْمِ الله সহ সুরা ইখলাস ৩ বার
(৬) بِسْمِ الله সহ সুরা ফালাক ৩ বার
(৭) بِسْمِ الله সহ সুরা নাস ৩ বার
(৮) এস্তেগফার ও দুরুদ শরিফ ৩ বার করে
———————
(খ) হাদিসে বর্ণিত যেই দুয়া’- পড়তে হবে
এরপর নিচের (৬টি দুয়া’) দুয়াগুলো (প্রতিটি ৩ বার করে)
- اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبْ الْبَاسَ اشْفِهِ وَأَنْتَ الشَّافِي لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا
আল্লা-হুম্মা রব্বান না-ছ, আযহিবিল বা-ছ, ইশফিহি ওয়া আং-তাশ শা-ফী, লা-শিফা-আন ইল্লা-শিফা-উক, শিফা-আল লা-ইউগা-দিরু সাক্বামা-।
- بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ اللَّهُ يَشْفِيكَ بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ
বিসমিল্লা-হি আরকীক, মিং কুল্লি শাইয়িই ইউ;’যী-ক, মিং শাররি কুল্লি নাফছিন আও আ’ইনিন হা-সিদ, আল্লা-হু ইয়াশফীক, বিসমিল্লা-হি আরকীক।
- بِاسْمِ اللَّهِ يُبْرِيكَ وَمِنْ كُلِّ دَاءٍ يَشْفِيكَ وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ وَشَرِّ كُلِّ ذِي عَيْنٍ
বিসমিল্লা-হি ইউবরীক, ওয়া মিং কুল্লি দা-ঈই ইয়াশ ফী-ক, ওয়া মিং- শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ, ওয়া শাররি-কুল্লি যী- আ’ঈ-ন)।
- اَسْأَلُ اللهَ الْعَظِيمِ، رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ اَنْ يَّشْفِيكَ
আছ আলুল্লাহাল আ’যীম, রব্বাল আরশিল আ’যীম, আই ইয়াশ ফি-ক।
- بِسْمِ اللَّهِ بِسْمِ اللَّهِ بِسْمِ اللَّهِ أَعُوذُ بِعِزَّةِ اللَّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ
বিসমিল্লা-হ, বিসমিল্লা-হ, বিসমিল্লা-হ, আ’উ-যু বিঈ’ঝঝাতিল্লাহি ওয়া ক্কুদরাতিহি মিং শাররি মা-আজিদু ওয়া উহা-যিরু)।
- أُعِيْذُكُمْ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّةِ ، مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ
উঈ’-যুকুম বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাহ, মিং-কুল্লি শাইত্বা – নিও- ওয়া হা-ম্মাহ, ওয়া মিং-কুল্লি আ’ইনিল লা-ম্মাহ।
———————-
(গ) পানি তেল মধু ও কালোজিরার ব্যবহারঃ
(১) রুকইয়ার জন্য পড়ে ফুঁক দেওয়া পানি, তেল, মধু এবং কালোজিরা এখানে বলা নিয়মে ব্যবহার করতে থাকুন…..।
(ক) গোসলের পানিঃ বালতিতে গোছলের পানির সাথে এক বা আধা-গ্লাস করে পড়া পানি মিশিয়ে গোছল করবেন প্রতিদিন।
(খ) পান করার জন্য পানিঃ সকাল-বিকাল দুই বেলা এক বা আধা-গ্লাস করে এই পড়া পানি পান করবেন প্রতিদিন।
(গ) মধু ও কালোজিরাঃ সকালে ও রাতে ১৫/২০ টি কালোজিরা ও হাফ টেবিল চামচ করে মধু খাবেন প্রতিদিন।
(ঘ) তেলঃ রাতের বেলা মাথার তালুতে, চোখ- নাক ও কানের ছিদ্রে তেল দিয়ে ঘুমাবেন, গোছলের পরে চোখ-নাক ও কানের ছিদ্রে এবং হাতে-পায়ে তেল দিবেন, আর অঙ্গে কোথাও ব্যথা থাকলে সেখানে এই তেল মাঝেমাঝে ম্যাসাজ করে দিবেন।
——————–
(২) সুরা/আয়াত-দুয়াগুলো পড়ে ফুঁক দেওয়া পানি-তেল-মধু এবং কালোজিরা শেষ হয়ে গেলে, এগুলো নিয়ে আগের মতই পড়ে আবার তৈরি করে নিলেই হবে। *একবার আয়াত-দুয়া পড়ে ফুঁক দেওয়া পানি, তেল, মধু এবং কালোজিরা সাত দিনের বেশি ব্যবহার না করাই উত্তম, কিছু অবশিষ্ট থাকলে ওগুলোর সাথে আরো পানি-তেল-মধু ও কালোজিরা মিশিয়ে আগের মতই সুরা/আয়াত-দুয়া’গুলো পড়ে আবার তৈরি করে নিলেই হবে*
——————
(৩) নিজে শুদ্ধ করে পড়তে না পারলে, অন্য কেউ পড়ে ফুঁক দিয়ে দিলেও হবে, একজনের রুকইয়াহ আরেকজনে (যার জন্য করবে তার নিয়ত করে রুকইয়াহ) করলেও হবে ইনশাআল্লাহ।
★ মেয়েদের পিরিয়ড হলে-
গোছলের পানি, তেল, মধু এবং কালোজিরা অন্য কেউ উপরে বলা সুরা-আয়াত ও দুয়াগুলো পড়ে তৈরি করে দিবে, যদি পড়ে দেওয়ার মতো কেউ না থাকে তবে আপনি শুধুমাত্র ৩নং আমলের (খ নং) এ বলা রুকইয়ার দুয়াগুলো (৬টি দুয়া) কয়েকবার করে পড়ে এগুলো তৈরি করে নিবেন।
************
রুকইয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
পানিঃ জমজম কুপের পানি সর্বোত্তম, তা নাহলে যে কোনো পানি।
তেলঃ জয়তুনের তেল (অলিভ অয়েল)সর্বোত্তম, তা নাহলে সরিষার বা অন্য যে কোনো তেল হলেও চলবে।
মধুঃ ওরিজিনাল মধু দেখে নিবেন, মধু না পাইলে খেজুর হলেও চলবে।
কালোজিরাঃ ফ্রেশ এবং নির্ভেজাল দেখে নিবেন।
৪ নং আমলঃ
এই লিংকের অডিও ২টি প্রতিদিন ২ বার করে শুনবে এ
লিংকঃ ১৭ নং অডিও
লিংকঃ ২১.১ নং অডিও
————————-
সকল সমস্যা কাটিয়ে সুস্থতা লাভের জন্য বিশেষ পরামর্শঃ
* গুরুত্বের সাথে প্রথম ওয়াক্তেই নামাজ আদায় করা,অন্যান্য ফরজ এবং সুন্নাত আমলের প্রতি যত্নবান হওয়া, শিরিক বিদআ’ত ও গোমরাহী থেকে বেঁচে থাকা।
* মেয়েদের জন্য খাস পর্দা করা, ছেলেদের জন্য দাড়ি রাখা এবং যৌবনের হেফাজত করা।
* কুরআন তেলাওয়াত, যিকির-আযকার, দান-সাদাকাহ বেশি বেশি করা, দ্বীনি কাজে সময় দেওয়া।
* মিথ্যাচার, ধোঁকাবাজি ও ফাহেশা কাজ থেকে বিরত থাকা, বেয়াদবি, কর্কশ এবং উচ্ছৃঙ্খল আচরণ না করা।
* গান-মিউজিক শোনা, নাটক-মুভি দেখা, অশ্লীল কথা বলা, অশ্লীল চিন্তা করা এসব থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা।
* হে আল্লাহ!যাবতীয় সমস্যা/বিপদ/রোগ থেকে মুক্ত করে আপনার শেফা ও অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে পরিপূর্ণ সুস্থ করে দিন এই দুয়া করা।
সংকলক সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন
ফেসবুক গ্রুপ এ প্রবেশ করতে এখানে ক্লিক করুন
ফেসবুক পেইজ এ প্রবেশ করতে এখানে ক্লিক করুন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল