﷽
বদ–নজর এর সমস্যায় রুকইয়াহ (অডিও সাজেশন)
পোষ্ট নং-৬২.১ (রুকইয়াহ-নজর/০৩)
বদ-নজর এর সমস্যার কারনে বিভিন্ন ক্ষেত্রেই বিফল হতে হচ্ছে, ভালো কিছুই হচ্ছেনা, স্বাস্থের অবনতি, সংসারে অশান্তি, অহেতুক ঝগড়াঝাঁটি, লাগাতার অসুস্থতা, কর্মস্থলে ঝামেলা, ব্যবসায় হঠাৎ লোকসান তাহলে আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা করে সমস্যা কাটিয়ে উঠে সুস্থতা লাভের জন্য এই রুকইয়ার আমল করা শুরু করুন।
(এই রুকইয়াতে সকালে দেড় ঘন্টা ও বিকালে বা রাতে দেড় ঘন্টা দৈনিক মোট ৩ ঘন্টার মতো সময় লাগবে)।
সুস্থতা লাভ করে সুখি ও সুন্দর জিবনের লক্ষ্যে উল্লেখিত নিচের সাজেশন ফলো করতে থাকুন।
আমল নং-১
মাসনুন আমলঃ মানুষ, জ্বিন, সাপ-বিচ্ছু, পোঁকা-মাকড়, কীট পতঙ্গ, শয়তান এবং অন্যান্য ক্ষতি/বিপদ থেকে হেফাজত থাকার জন্য মাসনুন দুয়া’র আমল খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী তাই ছোটবড়, নারী-পুরুষ সকলের জন্য আজীবন মাসনুন আমল চালিয়ে যাওয়া জরুরি, আল্লাহ তায়া’লা আমাদেরকে মাসনুন আমল করার তাওফিক দান করুন।
লিংকঃ মাসনূন আমল ওয়েবপেইজ
লিংকঃ মাসনূন আমল ফেসবুক
আমল নং-২
(ক) এই রুকইয়ার জন্য করণীয় আমলঃ
প্রথমতঃ মনকে স্থির করে নিন রুকইয়াহ করার জন্য,যত বাঁধা আসুক, যতই কষ্ট হোক রুকইয়াহ চালিয়েই যাবো কিছুতেই হেরে যাবো না ইনশাআল্লাহ।★ রুকইয়াহ করতে চাইলে নিচের লিংক ৩টি ভালোমতো পড়বেন তাহলে এই রুকইয়ার উপর সঠিক ধারণা পাবেন এবং রুকইয়াহ করা সহজ হবে, এরপর প্রাথমিক কাজগুলো শেষ করে পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে রুকইয়াহ শুরু করবেন ইনশাআল্লাহ ★
১ম লিংকঃ রুকইয়াহ সম্পর্কে জানুন
২য় লিংকঃ আপনার রোগ ও সমাধান
৩য় লিংকঃ ভন্ড-প্রতারক-যাদুকর থেকে সাবধান!
দ্বিতীয়তঃ আপনি কোনো তাবিজ-কবচ, তাগা, কবিরাজি কোনকিছু ব্যবহার করলে অথবা কোনো মাযার-দরগায় গিয়ে থাকলে সেজন্য তাওবা করে রুকইয়াহ শুরু করবেন, আর তাবিজ-কবচ, তাগা, কবিরাজি কোনকিছু এখনো ব্যবহারে থাকলে তা নষ্ট করবেন।
(লিংকে ক্লিক করলে এগুলো নষ্টের নিয়ম পাবেন)
লিংকঃ কবিরাজি ও যাদুর জিনিষ নষ্ট করার নিয়ম
আমল নং-৩
(ক) এভাবে নিয়ত করে রুকইয়াহ শুরু করবেনঃ
ইয়া আল্লাহ! আপনার নামে এবং একমাত্র আপনার উপরই ভরসা করে এই রুকইয়ার আমল শুরু করছি, জ্বিন অথবা মানুষ কর্তৃক আমার যদি বদ-নজর এর সমস্যা হয়ে থাকে, তা থেকে মুক্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার জন্য এই আমলগুলো করছি, ইয়া আল্লাহ!আপনার শেফা ও অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে পরিপূর্ণ সুস্থ করে দিন।
(খ) অডিও শোনার নিয়মঃ
প্রতিদিন ২ বার করে বদ-নজরের রুকইয়ার নিয়তে উল্লেখিত অডিও ২ টি শুনবেন, কোনো কারনে প্রতিদিন ২ বার করে শুনতে না পারলে, কমপক্ষে ১ বার করে অবশ্যই শুনবেন (কিছুতেই যেনো কোনদিনই রুকইয়ার আমল ছুটে না যায়), নিরিবিলি পরিবেশে গভীর মনোযোগ দিয়ে ও ধৈর্য্যের সাথে এই অডিওগুলো শুনবেন।
(গ) যেই অডিওগুলো শুনবেনঃ
“বদনজর কমন” (অডিও লিংকের 01 নং) এবং “নজর অবনতি” (অডিও লিংকের 01.4 নং) এই ২ টি অডিও
লিংকঃ রুকইয়াহ সেবা প্রকল্প অডিও লিংক
* অডিও শোনার সময় অস্বস্থি বোধ, বিরক্তি বোধ হলেও শুনতে থাকবেন, ঘুম আসলে জেগে থাকতে চেষ্টা করবেন, আর একান্তই না পেরে ঘুমিয়ে গেলেও দুশ্চিন্তার কিছু নাই, সমস্যা সমাধান হলেই ভালো ফিল করতে থাকবেন ইনশাআল্লাহ! দুশ্চিন্তার কারণ নাই।
.
* আর আপনি কয়েকবার মনোযোগ দিয়ে শোনার পরেও কোনো ইফেক্ট না হলে, আলহামদুলিল্লাহ্ আপনার কোনো সমস্যা নাই, আপনার যদি প্রবলেম থাকে তাহলে রুকইয়াহ শুনলে আপনি ফিজিক্যালি এর প্রভাব টের পাবেন।
যেমনঃ প্রচণ্ড ঘুম আসবে, মাথাব্যথা করতে পারে, হাত-পা কামড়াতে পারে, হার্টবিট বেড়ে যেতে পারে, শরীর ঘামতে পারে, বেশি বেশি প্রসাব হতে পারে- ইত্যাদি ইত্যাদি।
—————————–
আমল নং-৪
* বদ–নজরের চিকিৎসায় রুকইয়ার গোসলের পদ্ধতিঃ
একটা পাত্রে বা বালতিতে পরিমান মতো (মাথা হতে পা পর্যন্ত পুরো শরীর ভেজানো যায় এই পরিমান)পানি নিবেন, তারপর ওই পানিতে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত পুরোপুরি ডুবিয়ে রাখবেন, এরপর পড়বেন –
(ক) “দরুদ শরিফ” ৭ বার।
(খ) সুরা ফাতিহা ৭ বার।
(গ) আয়াতুল কুরসি ৭ বার।
(ঘ) ৪ কুল (কাফিরুন, ইখলাস, ফালাক্ব, নাস) প্রতিটি ৭ বার করে।
(ঙ) শেষে আবার “দরুদ শরিফ” ৭ বার পড়বেন ।
————————-
লক্ষণীয়ঃ
১. এগুলো পড়ার পর হাত উঠাবেন এবং এই পড়া পানি দিয়ে গোসল করবেন, এগুলা পড়ে পানিতে ফুঁ দিবেন না, শুধু হাত রেখে পড়লেই হবে।
২. যদি টয়লেট আর গোসলখানা একসাথে হয় তখন অবশ্যই পাত্রে বা বালতিতে পানি নিয়ে বাহিরে এনে পড়তে হবে (টয়লেট এর ভিতরে কিছুতেই কুরআনের আয়াত পড়া যাবে না)।
৩. কোনো দিন হাতে সময় কম থাকলে এসবের মধ্যে সুরা কাফিরুন বাদ দিতে পারেন, আর দরুদ শরিফ ৩ বার করে পড়তে পারেন।
৪. প্রথমে এই পানি দিয়ে গোসল করলেন, পরে অন্য পানি দিয়ে ভালো মতো গোসল করতে পারবেন এতে কোনো অসুবিধে নেই।
৫. যার সমস্যা সে যদি নিজে পড়তে না পারে, তাহলে অন্য কেউ তার নিয়তে পানিতে হাত রেখে পড়ে দিবে, এরপর সেই পানি দিয়ে সে গোসল করবে।
———————–
আপনার জন্য প্রেসক্রিপশন সামারিঃ
(ক) প্রতিদিন রুকইয়ার অডিও ২টি শুনবেন ২ বার করে।
(খ) উপরের নিয়ম অনুযায়ী রুকইয়ার গোসল করবেন।
(গ) মাসনুন আমল করবেন প্রতিদিন।
সমস্যা অনুযায়ী,,,
সাধারণত ৩ থেকে ১০ দিন এই সাজেশন ফলো করবেন, সমস্যা বেশি মনে হলে ২১ দিন পর্যন্ত করতে পারেন, সমস্যা কম হলে কখনো ১ দিনেও ভালো হয়ে যায়, তবে ভালো হওয়ার পরেও আরো ২-৩ দিন করা উচিৎ।
হে আল্লাহ্! আমাদেরকে সুস্থ ও নেক হায়াত দান করুন।
(সমাপ্ত)